দু’গ্রুপের সংঘর্ষ চলাকালে ওসির মৃত্যু

সিলেটের ওসমানীনগন থানার সিএনজি অটোরিকশা স্ট্যান্ডের নিয়ন্ত্রণ দখলকে কেন্দ্র করে দু’পক্ষের মধ্যে সংঘর্ষে ওসমানীনগর থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) মোস্তাফিজুর রহমান নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছেন অন্তত ২৫ জন।

বুধবার সকাল ১১টা থেকে বিকেল ৩টায় পর্যন্ত দফায় দফায় এ সংঘর্ষের ঘটনা ঘটে। আহতদের বেশ কয়েকজনকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

এর মধ্যে আরো অনেকের অবস্থা আশঙ্কাজনক বলে জানা গেছে। বর্তমানে ঘটনাস্থলে পুলিশের পাশাপাশি বিপুল সংখ্যক বিজিবিও মোতায়েন করা হয়েছে।

ওসি মারা যাওয়ার বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন ডিআইজি মিজানুর রহমান।

বিকেল পৌনে ৪টার দিকে ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি মারা যান।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, সংঘর্ষ চলাকালে ওসি মোস্তাফিজ স্ট্রোক করেন। পরে হাসপাতালে মারা গেছেন।

পুলিশ জানায়, সিলেটের ওসমানীনগর থানাধীন গোয়ালাবাজারে সিএনজি অটোরিকশা শ্রমিকদের একাংশের নেতারা প্রায় ৬ মাস পূর্ব থেকে নতুন স্ট্যান্ড খোলার দাবি জানিয়ে আসছিলেন। চারমাস আগে অটোরিকশা শ্রমিক ইউনিয়নের (রেজি নং ৭০৭) জেলা শাখার নেতারা দক্ষিণ গোয়ালাবাজার শ্রমিক ইউনিয়ন নামে নতুন শাখা করে স্ট্যান্ড স্থাপনের উদ্যোগ নেন। এতে বাধা দেন গোয়ালাবাজার শ্রমিক ইউনিয়নের নেতারা। এনিয়ে উভয় পক্ষের মধ্যে উত্তেজনা দেখা দিলে জেলার নেতারা নতুন শাখা খোলা স্থগিত রাখেন।

সিলেটের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার নাজমুল হাসান জানান, নতুন স্ট্যান্ডের দাবিতে বুধবার সকাল ১০টার দিকে দক্ষিণ গোয়ালাবাজারের শ্রমিকরা সিলেট-ঢাকা মহাসড়ক অবরোধ করেন। এনিয়ে গোয়ালাবাজার শাখার শ্রমিকদের সাথে ধাওয়া পাল্টা ধাওয়া শুরু হলে ওসমানীনগর থানার ওসি মোস্তাফিজুর রহমানের নেতৃত্বে একদল পুলিশ গিয়ে উভয় পক্ষকে ছত্রভঙ্গ করে দিয়ে মহাসড়ক দিয়ে যান চলাচল স্বাভাবিক করে দেন।

দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে দক্ষিণ গোয়ালাবাজারের অটোরিকশা শ্রমিকরা আবারও মহাসড়ক অবরোধ করলে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান পুলিশ নিয়ে সেখানে যান। তখন পুলিশের সাথে শ্রমিকদের ধাওয়া-পাল্টা ধাওয়া হয়। একপর্যায়ে ওসি মোস্তাফিজুর রহমান ঘটনাস্থলেই অসুস্থ হয়ে পড়েন।

অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আরো জানান, গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় ওসি মোস্তাফিজুর রহমানকে সিলেট ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালে নিয়ে আসা হয়। চিকিৎসাধীন অবস্থায় বিকেল পৌনে ৪টার দিকে তিনি মারা যান।

কর্তব্যরত চিকিৎসকদের বরাত দিয়ে ওই পুলিশ কর্মকর্তা জানান, ওসি মোস্তাফিজ হার্টঅ্যাটাকে মারা গেছেন।



মন্তব্য চালু নেই