ঘুরে আসুন মালদ্বীপ

হাজারের বেশি দ্বীপের দেশ মালদ্বীপ। তাই পর্যটকদের কাছে ভীষণ প্রিয় দেশটি। এতদিন শুধু টাকা-পয়সাওয়ালা পর্যটকরাই সেখানে যেতে পারতেন। বছর কয়েক আগে আইনে সংস্কার আনায় কম খরচেই এখন যাওয়া যাচ্ছে মালদ্বীপে।
সার্কের অন্তর্ভুক্ত দেশ মালদ্বীপের আয়ের একটা বড় অংশ আসে পর্যটন খাত থেকে। দ্বীপ রাষ্ট্র হওয়ার কারণে পশ্চিমা পর্যটকদের কাছে মালদ্বীপ খুবই আকর্ষণীয়। বিশেষ করে পশ্চিমা নবদম্পতিরা সেখানে যেতে খুবই পছন্দ করেন।
কিন্তু পশ্চিমা পর্যটক মানেই তাদের বিশেষ কিছু সুবিধা দিতে হয়। যেমন অবাধে পানীয় পানের সুযোগ, ইচ্ছামতো পোশাক, নারী-পুরুষের বিয়ে বহির্ভূত যৌনমিলনের সুযোগ ইত্যাদি। কিন্তু এর কোনোটাই মুসলিম দেশ মালদ্বীপের সংস্কৃতির সঙ্গে সামঞ্জস্যপূর্ণ নয়।
তাই আগে পর্যটকদের মনুষ্য বসতি আছে এমন কোনো জায়গায় যেতে দেয়া হতো না। রাজধানী মালের আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে নামার পর পর্যটকদের স্পিডবোটে বা এয়ার ট্যাক্সিতে করে বিভিন্ন দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হতো। সেসব দ্বীপে কোনো বসতি থাকত না। ফলে পর্যটকরা যা ইচ্ছা তাই করতে পারতেন।
তবে ২০০৯ সালে দেশটিতে অনুষ্ঠিত প্রথম গণতান্ত্রিক নির্বাচনে জয়ী হয়ে প্রেসিডেন্ট নির্বাচিত হওয়ার পর মোহাম্মদ নাশিদ একটি সংস্কার আনেন। এর ফলে মালেতে বসবাসকারীরা তাদের ‘গেস্টহাউস’ বিদেশি পর্যটকদের কাছে ভাড়া দেয়ার সুযোগ পান।
এতে করে যেটা হয়েছে তা হলো পর্যটকদের আর স্পিডবোট বা এয়ার ট্যাক্সির মতো ব্যয়বহুল যানে চড়তে হচ্ছে না। আর রাজধানীতে থাকতে পারার কারণে কম খরচে খাওয়া-দাওয়ার সুযোগ পাওয়া যাচ্ছে। অথচ আগে এয়ার ট্যাক্সিতে করে যে দ্বীপে নিয়ে যাওয়া হতো সেখানে মানুষজন না থাকায় খাবারের দাম হতো অনেক বেশি।
একটা উদাহরণ দিলে বিষয়টা আরও পরিষ্কার হবে। বার্তা সংস্থা এএফপির সূত্রে জানা গেছে, ২৫ বছর বয়সী মালের এক যুবক কদিন আগে একটি গেস্টহাউস চালু করেছেন। সেখানে প্রতি রাতের ভাড়া ৩০ ডলার। অথচ দ্বীপগুলোতে যে রিসোর্ট রয়েছে সেখানে ভাড়াটা এর চেয়ে প্রায় ১০ গুন বেশি।
সুতরাং ভ্রমণপ্রিয় পাঠকরা সময় ও সুযোগ পেলে চলে যেতে পারেন মালদ্বীপে। মালদ্বীপের এয়ারলাইন্স মালদিভিয়ান সপ্তাহে দুদিন ঢাকা থেকে মালেতে চলাচল করে।



মন্তব্য চালু নেই