উদয়নের ল্যাপটপে আকাঙ্খার নগ্ন ছবি!

ভারতের ভোপালে বাঁকুড়ার মেয়ে আকাঙ্খা শর্মা হত্যার ঘটনায় চাঞ্চল্যকর তথ্য উঠে এলো। তদন্তে নেমে পুলিশ হাতে পেয়েছে আকাঙ্খার একাধিক নগ্ন ছবি। আর সেগুলো মিলেছে অভিযুক্ত উদয়ন দাসের ল্যাপটপে। সম্প্রতি আকাঙ্খার প্রেমিক উদয়নের বাড়িতে তল্লাশি চালাতে গিয়ে ল্যাপটপটি পাওয়া যায়।

এর আগে অবশ্য আকাঙ্খা খুনে স্বীকারোক্তিমূলক জবানবন্দি দেন উদয়ন। বেশ কয়েক মাস ধরে তারা লিভ-ইনে ছিলেন। আমেরিকা যাওয়ার কথা বলে বাড়ি ছেড়ে প্রেমিকের বাসায় উঠেছিল আকাঙ্খা। জবানবন্দিতে উদয়ন জানিয়েছিলেন, অন্য কারোর সঙ্গে আকাঙ্খা সম্পর্কে জড়িয়ে পড়েছিলেন বলে সন্দেহ হয় তার। তার জেরেই আকাঙ্খার সঙ্গে ঝামেলা বাঁধে উদয়নের। এক পর্যায়ে গলা টিপে আকাঙ্খাকে খুন করেন দিল্লি আইআইটির ছাত্র উদয়ন দাস। খুনের পর মৃত আকাঙ্খার দেহ পুঁতে রাখা হয় উদয়নের বাড়ির রান্না ঘরে। লোহার ট্রাঙ্কের উপর কংক্রিটের গাঁথুনি তুলে দেয় উদয়ন। মৃতদেহের গন্ধ যাতে দূরে না যায়, তার জন্য মার্বেল দিয়ে বাঁধিয়ে রাখা হয়েছিল ওই কংক্রিটের বেদিকে। মানুষের সন্দেহ দূরে সরাতে আকাঙ্খার ফেসবুক অ্যাকাউন্ট থেকে ‘অন’ থাকত উদয়ন নিজেই।

তবে এবার নগ্ন ছবি পাওয়ায় অন্য চিন্তা ঢুকেছে তদন্তকারীদের মাথায়। কেন উদয়নের ল্যাপটপে আকাঙ্খার এই ছবিগুলো? এটা কি ব্লাকমেলের উদ্দেশ্যে নাকি অন্য কোন কারণে রাখা? কেন তোলা হয়েছিল এ ছবিগুলো? এতে আকাঙ্খার সায় ছিল? এমন নানা প্রশ্ন সামনে নিয়ে তদন্ত চালাচ্ছে পুলিশ।

তদন্ত করতে গিয়ে উঠে এসেছে আরও এক ভয়াবহ তথ্য৷ আকাঙ্খাকে খুন করার পাশাপাশি নাকি আকাঙ্খার পরিবারকেও খুন করতে চেয়েছিল এই বিকৃত মানসিকতার উদয়ন৷ এই কারনে একাধিকবার আকাঙ্খার পরিবারকে তার ভোপালের সাকেতনগরের বাড়িতে নিয়ে যেতে চেয়েছিল সে৷ কিন্তু আকাঙ্খার পরিবার এই প্রস্তাবে রাজি হয়নি৷ এমনকি তাদেরকে সে আমেরিকা যাওয়ার টোপও দিয়েছিল৷ এজন্য তাদের কাছ থেকে সে ব্যাংকের সমস্ত তথ্য জানতে চেয়েছিল৷ তার মূল উদ্দেশ্য ছিল আকাঙ্খার পরিবারের সমস্ত টাকা আত্মসাৎ করা।

এই বিষয়টির সঙ্গে কি আদৌ আকাঙ্খার নগ্ন ছবির কোনও সম্পর্ক আছে? টাকা পাওয়ার জন্যই কি বেডরুমের ওই সমস্ত নগ্ন ছবি ল্যাপটপে রেখেছিল সে? নাকি অন্য কোন উদ্দেশ্য ছিল তার? এমন নানা প্রশ্নের মুখে ঘন ঘন বদলাচ্ছে তদন্তের মোড়।



মন্তব্য চালু নেই