তৃতীয় দিনের শুরুতেই ব্যাটিং বিপর্যয়

মাথার উপর হিমালয়সম রানের চাপটা ফুটে উঠেছে বাংলাদেশের ব্যাটসম্যানদের ব্যাটিংয়ে। তৃতীয় দিনের শুরুতেই নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে তামিমের বিদায়ের পর এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরে গেছেন বাংলাদেশের টেস্ট স্পেশালিষ্ট খ্যাত ব্যাটসম্যান মুমিনুল। এ প্রতিবেদন লেখা পর্যন্ত বাংলাদেশের সংগ্রহ ৩ উইকেটে হারিয়ে ৭২ রান।

আগের দিন সৌম্যের আউটের পর তামিম-মুমিনুলের শুরুর দিকে তাকিয়ে ছিল সবাই। দিনের শুরুটাও দুইজনে করে করেছিলেন অনেক আত্মবিশ্বাস নিয়েই। ভাবা হচ্ছিল যতটা সম্ভব ঝুঁকি না নিয়ে দেখে শুনে ব্যাট করবেন। তবে টেস্ট না খেলার অভিজ্ঞতা ঠিকই ফুটে উঠলো তাদের খেলায়। দিনের শুরুতেই দুই রান নিতে গিয়ে নিজেদের ভুল বোঝাবুঝিতে দিনের তৃতীয় ওভারেই ব্যক্তিগত ২৫ রান নিয়ে তামিমের বিদায়।

তামিমের বিদায়ের পর খুব বেশি সময় উইকেটে থাকতে পারলেন মুমিনুলও। ব্যক্তিগত ১২ রানে উমেশ যাদবের ভেতরে আসা বলটি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে গিয়ে পায়ে লাগলে এলবিডব্লিউ হয়ে সাজঘরে ফিরে যান এই ব্যাটসম্যান।

আগের দিন ৬৮৭ রানের হিমালয় সমান রান করেই ইনিংস ঘোষণা করে টিম ইন্ডিয়া। স্ট্যাম্পিং ও ক্যাচ মিসের খেসারত দিয়েই রানের পাহাড়েই চাপা পড়েন টাইগাররা। তবে জবাবটা ভালোই দিচ্ছিল বাংলাদেশ। কিন্তু দিন শেষে আফসোস হয়ে রইলো সৌম্য সরকারের আউট। উমেশ যাদবের ভেতরে আসা বলটি রক্ষণাত্মক ভঙ্গিতে খেলতে চেয়েছিলেন সৌম্য সরকার। কিন্তু ঠিকভাবে খেলতে পারেননি। ব্যাট সামান্য ছুঁয়ে বল চলে যায় উইকেটরক্ষক ঋদ্ধিমান সাহার হাতে। আম্পায়ার আউট না দিলেও রিভিউ আবেদন ভারতের পক্ষেই যায়।

এর আগে শুক্রবার আগের দিনের ৩ উইকেটে ৩৫৬ রান নিয়ে ব্যাটিং করতে নামে ভারত। দুই অপরাজিত ব্যাটসম্যান আজিঙ্কা রাহানে ও বিরাট কোহলির দারুণ ব্যাটিংই আজও শতরানের জুটি গড়েন। শেষ পর্যন্ত ভযঙ্কর হয়ে ওঠা এ জুটি ভাঙেন তাইজুল। তবে তাকে সাজঘরে ফেরানোর বড় অবদানটা ছিল মেহেদী হাসান মিরাজের। শর্ট কভারে ঝাঁপিয়ে পড়ে দারুণ এক ক্যাচ ধরেন তিনি। তবে আউট হওয়ার আগে ৮২ রানের ইনিংস খেলেন রাহানে। কোহলির সঙ্গে ২২২ রানের জুটি গড়েন তিনি।

তবে অপর প্রান্তে দারুণ ব্যাটিং করে নিজের চতুর্থ ডাবল সেঞ্চুরি তুলে নেন কোহলি। অনেকটা ওয়ানডে স্টাইলে ব্যাটিং করে এ কীর্তি গড়েন ভারতীয় অধিনায়ক। ২০৪ রান করে তাইজুলের বলে থামেন তিনি। মাত্র ২৪৬ বল মোকাবিলা করে ২৪টি চারের সাহায্যে সাজান নিজের এ ইনিংস। কোহলির বিদায়ের পর রবিচন্দ্রন অশ্বিনকে নিয়ে জুটি গড়েন ঋদ্ধিমান সাহা। ৭৪ রানের জুটি গড়েন তারা। দলীয় ৫৬৯ রানে অশ্বিনকে ফেরান মিরাজ। এরপর রবীন্দ্র জাদেজাকে নিয়ে আরও একটি দারুণ জুটি গড়েন ঋদ্ধিমান। অপরাজিত ১১৮ রানের জুটি গড়ে দিন শেষ করেন তারা।

মুশফিকের বদান্যতায় ক্যারিয়ারের দ্বিতীয় সেঞ্চুরিটি পান ঋদ্ধিমান। ব্যক্তিগত ৪ রানে তাকে সহজ জীবন দেন বাংলাদেশ অধিনায়ক। ১৫৫ বলে ৭টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে ১০৬ রানে অপরাজিত থাকেন এ উইকেটরক্ষক ব্যাটসম্যান। জাদেজা করেন অপরাজিত ৬০ রান। ৭৮ বলে ৪টি চার ও ২টি ছক্কার সাহায্যে এ রান করেন এ অলরাউন্ডার।

বাংলাদেশের পক্ষে সর্বোচ্চ ৩ উইকেট নেন তাইজুল ইসলাম। মেহেদী হাসান মিরাজ লাভ করেছেন দুটি উইকেট লাভ করেছেন। তাসকিন আহমেদকে সন্তুষ্ট থাকতে হয় এক উইকেট নিয়েই।



মন্তব্য চালু নেই