ভারতে সরকারি ভোজে মাংস নিষিদ্ধের দাবি

এবার থেকে সরকারি ভোজেও মাংসের পদ নিষিদ্ধ হোক। প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির কাছে আর্জি পশু কল্যাণ সংস্থা ‘‌এথিক্যাল ট্রিটমেন্ট অফ অ্যানিম্যালস’‌ (‌পেটা)‌–র। সম্প্রতি সমস্ত সরকারি অনুষ্ঠানে খাবারের তালিকায় মাংস নিষিদ্ধ করেছেন জার্মানির পরিবেশ মন্ত্রী বারবরা হেন্ড্রিকস। তার দেখাদেখি মোদিকে লিখিত আর্জি জানিয়েছে ভারতে পেটার শাখা সংস্থা।

তাতে বলা হয়েছে, ‘‌সরকারি অনুষ্ঠানে খাবারের তালিকায় মাংস নিষিদ্ধ করা হোক। এতে গ্রিন হাউস গ্যাসের ক্ষতিকর প্রভাব এড়ানো যাবে। জলবায়ু পরিবর্তনের সমস্যাও মিটবে। নিরামিষভোজীদের কাছে মোদি হলেন রোল মডেল। স্বাস্থ্য ও পরিবেশ সম্পর্কে তার সচেতনতা সম্পর্কে সকলেই ওয়াকিবহাল। তাই তিনি পদক্ষেপ করলে পরিবর্তন সম্ভব। এতে পরিবেশ রক্ষাও হবে, আবার গোটা বিশ্বে ভারতের ভাবমূর্তিও উজ্জ্বল হবে।’‌

পেটা জানিয়েছে, জলবায়ু পরিবর্তনের সঙ্গে মাংস উৎপাদনের প্রত্যক্ষ যোগ রয়েছে। যা গোটা বিশ্বের ৫১ শতাংশ গ্রিন হাউস নির্গমনের জন্য দায়ী। এতে প্রচুর পানি এবং শস্যের অপচয় হয়। বাতাসে মিথেনের পরিমাণ অস্বাভিক হারে বাড়ে। দুর্ভিক্ষ এবং খরার জন্যও মাংস উৎপাদনকে দায়ী করেছে তারা।

একটি রিপোর্ট পেশ করে বলা হয়েছে, যেখানে ভারতের ১৯ কোটি ৪ লক্ষ মানুষ অপুষ্টিতে ভুগছেন, সেখানে বিশ্বের ৬০ শতাংশ শস্যই মাংস উৎপাদনের জন্য পশু খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। ১ কিলো মাংস উৎপাদন করতে প্রায় ১০ কিলো শস্য খরচ হয়।

জাতিসংঘের সমীক্ষা অনুযায়ী, গোটা বিশ্বের মানুষকে নিরামিষ খাওয়ায় উৎসাহিত করতে পারলে খরা, দুর্ভিক্ষের হাত থেকে রেহাই মিলবে। জলবায়ু পরিবর্তন ঠেকানো যাবে। পরবর্তীকালে দুধ, দই, ডিমের মতো পশুজাত খাদ্য নিষিদ্ধ করতেও আবেদন করবেন বলে জানিয়েছেন ভারতে নিযুক্ত পেটার জননীতি সংক্রান্ত কর্মকর্তা নিকুঞ্জ শর্মা।

সূত্র : আজকাল



মন্তব্য চালু নেই