ইউপি নির্বাচন: যার টাকা বেশী দলীয় মনোনয়ন তাঁর

‘কেউ বলেন ২ কোটি আবার কেউ ৩ কোটি’ ঘোষণা দিয়ে ইতিমধ্যে দলীয় মনোনয়ন পেতে দলের নীতি নির্ধারক ও ভোটারদের মন আকৃষ্ট করতে মাঠে নেমেছে ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনের প্রার্থীরা। অবস্থা সংকটে থাকায় বিরোধীদলের মনোনয়ন কিছুটা সস্তা হলেও সরকার দলীয় মনোনয়ন বেশ চড়া বলে জানা যায়। বিষয়টা এক প্রকার ওপেন সিক্রেটের মত।

আসন্ন ইউপি নির্বাচনে লামা উপজেলার সাতটি ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচন চতুর্থ বা পঞ্চম দফায় হতে পারে বলে জানায় লামা নির্বাচন অফিস। প্রত্যেক ইউনিয়নে আওয়ামী লীগের ৩-৫ জন ও বিএনপি’র ১-২ জন প্রার্থী চেয়ারম্যান পদে মনোনয়ন প্রত্যাশী। একাধিক প্রার্থী হওয়ায় যে যার মত লবিং গ্রুপিং, নীতি নির্ধারকদের মন জয় ও ব্যাপক অংকের অর্থ ব্যায়ের আশ্বাস দিয়ে আসছে। ভোটারদের বদলে প্রার্থীদের কাছে নেতা-কর্মীদের কদর বেড়েছে।

অপরদিকে এবারের নির্বাচনে গরমের পরশ থাকায় চায়ের কাপে ঝড় না ওঠে কুলিং কর্ণার গুলোতে কোকাকোলা, ৭আপ, ইউরো, প্রাণ আপ এর বেচা-বিক্রি বেড়েছে। নির্বাচনী আমেজে চা-নাস্তা দোকান গুলো গভীর রাত পর্যন্ত থাকছে জমজমাট। নীতি নির্ধারকদের বাড়িতে যাচ্ছে দামী উপঢোকন।

রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের মতে ইউপি নির্বাচন দলীয় প্রতীকের নির্বাচন হওয়ায় এখন প্রার্থী সংখ্যা কমে যাবে। তবে যোগ্যতার বিচার নিয়ে সংকিত বলে জানায় তারা। দলীয় বিবেচনায় যাকে প্রার্থী করা হবে, অযোগ্য হলে বাধ্য হয়ে ভোট দিতে হবে সকলকে।

লামা উপজেলার মাঠ যাচাই করে জানা যায়, দলীয় কাঠামো দিক থেকে তৃণমূল পর্যায়ে বিএনপি’র চেয়ে আওয়ামী লীগের অবস্থা অনেক ভাল। যার দরুণ বিএনপি’র ঘাটি হিসেবে পরিচিত লামা পৌরভায় গত পৌরসভা নির্বাচনে আওয়ামী লীগ ঈর্ষায়িত ভাবে জয়লাভ করে। লামা উপজেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আলহাজ্ব মোহাম্মদ ইসমাইল এর সূদুরপ্রাসারি দৃষ্টিভঙ্গির কারণে লামা আওয়ামী রাজনীতির এই পজেটিভ পরিবর্তন বলে স্বীকার করেন রাজনৈতিক বিশ্লেষকরা।



মন্তব্য চালু নেই