যৌনসন্ত্রাসের বয়ান : অনলাইনে কী বলা যাবে, কী যাবে না
নারীদের বিরুদ্ধে সহিংসতা বিশেষ করে যৌন সন্ত্রাসের ঘটনায় সত্যিকারের অপরাধীদের দায়ী না করে উল্টো ভুক্তভোগীর ঘাড়েই দোষ চাপানোর একটি প্রবণতা চলে আসছে বিশ্বব্যাপী। জেনে কিংবা না জেনে বিভিন্নভাবেই মানুষ এ দোষারোপের খেলায় শামিল হতে পারে। নারীর বিরুদ্ধে যৌন সন্ত্রাস নিয়ে আমরা সচরাচর যে শব্দগুলো ব্যবহার করি তা দিয়েই অনেকসময় যে ঘটনার মুখোমুখি হওয়া মানুষটিকে দোষারোপ করে ফেলছি তা হয়তো আমরা টেরই পাই না। বিশ্বের বিভিন্ন দেশের মানুষের মত অপরাধীর বদলে সহিংসতার সঙ্গে লড়াই করে টিকে যাওয়া মানুষটিকে দোষ দেয়া থেকে বিরত নয় ভারতীয়রাও।
আর তাই ভারতীয়দের এ ধরনের প্রবণতা থেকে সরিয়ে আনতে কাজ করে যাচ্ছে মানবাধিকার সংগঠন ব্রেকথ্রো। ব্লগ কিংবা সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে যৌন সহিংসতার মত সংবেদনশীল ইস্যুগুলো নিয়ে আলোচনা কিংবা লেখার ক্ষেত্রে কিছু নীতিমালার উল্লেখ করেছে সংগঠনটি। পাশাপাশি তথ্যবহুল ছবিও প্রকাশ করেছে ব্রেকথ্রো।
নিচে সেই তথ্যমূলক ছবিগুলো দেয়া হল-
১. ভুক্তভোগী নয়, ব্যবহার করতে হবে লড়াইকারী শব্দটি
২. ইভ টিজিং নয়, বলতে হবে যৌন সন্ত্রাস
৩. যৌন সন্ত্রাসের মুখোমুখি হওয়া নারী মুখ ঢেকে রেখেছে কিংবা চেহারা দেখাতে লজ্জ্বা পাচ্ছে এরকম ছবি ব্যবহার থেকে বিরত থাকতে হবে। বরং পারলে অপরাধীরা লজ্জিত হচ্ছে এমন কোন ছবি ব্যবহার করতে হবে।
৪. আবশ্যক না হয়ে পড়লে যৌন সন্ত্রাসের মুখোমুখি হওয়া নারীর পরিবারের বৃত্তান্ত তুলে ধরা থেকে বিরত থাকতে হবে।
৫. কর্মবাচ্য ব্যবহার করা যাবে না। যেমন- একজন পুরুষ দ্বারা একজন নারী ধর্ষিত হয়েছেন না বলে সরাসরি বলতে হবে যে একজন পুরুষ এক নারীকে ধর্ষণ করেছেন।
মন্তব্য চালু নেই