যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান ইসরায়েলের
ইসরায়েল গাজায় যুদ্ধবিরতি প্রস্তাব প্রত্যাখ্যান করেছে। মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরির যুদ্ধবিরতি প্রস্তাবকে বিবেচনা করতে শুক্রবার ইসরায়েলি নিরাপত্তা পরিষদ এক আলোচনায় বসে। আলোচনা শেষে দেশটির উর্ধ্বতন কর্তৃপক্ষ এ সিদ্ধান্তের কথা জানায়।
এদিকে জন কেরি এখনো সাত দিনের যুদ্ধবিরতির ব্যাপার আশাবাদী বলে জানিয়েছেন। তিনি নিশ্চিত ছিলেন, ইসরায়েলি প্রধানমন্ত্রী বেঞ্জমিন নেতানিয়াহু সমস্যা সমাধানে সত্যিই কোনো সুনির্দিষ্ট পথ খুঁজছেন।
গত ১৮ দিন ধরে গাজায় ইসরায়েলি বাহিনী এবং হামাসের এই সংঘর্ষ চলছে। ইসরায়েলি এক মূখপাত্র রয়টার্সকে জানান, দেশটির নিরাপত্তা পরিষদ চুক্তির বিষয়ে পরিবর্তন চেয়েছিল যুদ্ধবিরতিতে যাওয়ার আগে।
এদিকে ৮ শতাধিক ফিলিস্তিনি, যার বেশিরভাগই সাধারণ মানুষ নিহত হয়েছে এই চলমান যুদ্ধে। অপরদিকে ৩৬ জন ইসরায়েলি নিহত হয়েছে এই সংঘর্ষে। এই ৩৬ জনের মাঝে ৩৪ জনই সেনাসদস্য। বাকি দু’জনের একজন ইসরায়েলে বসবাসরত থাই নাগরিক।
এদিকে গাজা উপত্যকায় নিষেধাজ্ঞা তুলে না নিলে কোনো যুদ্ধবিরতি মেনে নেওয়া হবে বলে হামাসের উর্ধ্বতনের পক্ষ থেকেও জানিয়ে দেওয়া হয়েছে।
শুক্রবারও গাজায় ইসরায়েলি বিমান হামলা চলেছে লাগাতার। ইসরায়েলি নিরাপত্তা বাহিনী (আইডিএফ) দাবি করেছে, গাজায় ইসলামী জেহাদ গ্রুপের এক বড় নেতাকে হত্যা করেছে তারা।
আইডিএফ আরো জানিয়েছে, ইসরায়েলের সীমান্তে আরো কিছু হামাস রকেটকে রুখে দিয়েছে তাদের আয়রন ডোম অ্যান্টি মিসাইল। আয়রন ডোম এন্টি মিসাইল রাডারের সংকেতের মাধ্যমে রকেট ছুটে আসা সনাক্ত করে, তারপর পাল্টা মিসাইল ছুড়ে আকাশেই ধ্বংস করে রকেট। এই পদ্ধতিটি মার্কিন অার্থিক অনুদানে তৈরি করেছে ইসরায়েল।
ইসরায়েল গত ৮ জুলাই তাদের স্থলবাহিনীর অভিযান শুরু করে। দেশটি এই সামগ্রীক অভিযানের নাম দিয়েছে- অপারেশন প্রোটেক্টিভ এজ।
হামাসের আন্তঃনেটওয়ার্ক রক্ষা করতে এবং ইসরায়েলে হামলায় ব্যবহৃত গুপ্ত টানেলগুলো দখল করাই এই অভিযানের মূল উদ্দেশ্য বলে জানিয়েছে ইসরায়েল।
এদিকে মার্কির পররাষ্ট্রমন্ত্রী জন কেরি বলেছেন, এই যুদ্ধে গাজা এবং ইসরায়েলের অবস্থা নিদারুন যন্ত্রণাদায়ক, যা সহ্য করা যায় না।
তিনি মিশরের রাজধানী কায়রোতে উভয় পক্ষ এবং আরববিশ্বের নেতাদের সাথে, জাতিসংঘ মহাসচিব বান কি-মুন এবং মিশরের পররাষ্ট্রমন্ত্রী সামেহ শৌক্রির সাথে বসেছিলেন শান্তি আলোচনায়।
জন কেরি জানিয়েছেন, শনিবার তিনি প্যারিস যাচ্ছেন শান্তি আলোচনাকে আরো ইগয়ে নিয়ে যেতে।
মন্তব্য চালু নেই