গ্রিসের ঋণ সংস্কার পরিকল্পনা পেশ

ডেডলাইন পার হওয়ার দুই ঘণ্টা আগে বৃহস্পতিবার রাতে ইউরোজোনের কাছে ঋণ সংস্কার পরিকল্পনা পেশ করেছে গ্রিস। শেষ পর্যন্ত কর বৃদ্ধি, পেনশন পুনর্গঠন, বেসরকারিকরণ ও ব্যয় সংকোচনসহ ঋণদাতাদের সব শর্তই পরিকল্পনায় স্থান পেয়েছে। খবর বিবিসি ও রয়টার্সের।

ইউরোজোন কর্তৃপক্ষ জানিয়েছে, বৃহস্পতিবার রাতেই তারা প্রস্তাবনাটি গ্রহণ করেছেন। প্রস্তাবনাটি পর্যালোচনা করা হবে বলেও জানানো হয়েছে।

নানা জল্পনার পর অবশেষে গ্রিসের দেওয়া অর্থনীতি পুনরুদ্ধারের (বেইলআউট) পরিকল্পনায় নতুন করে ৫ হাজার ৩৫০ কোটি ইউরো (৫ হাজার ৯০০ কোটি মার্কিন ডলার) ঋণ প্রদানের প্রস্তাব দেওয়া হয়েছে। ২০১৮ সাল পর্যন্ত এ ঋণের মেয়াদের কথা উল্লেখ করা হয়েছে।

প্রস্তাবনায় পর্যটন ব্যবসায়ের জন্য তারল্য সরবরাহ ও জাহাজ কোম্পানিগুলোর ক্ষেত্রে কর বৃদ্ধির বিষয়ে নমনীয় অবস্থানে দেখা গেছে গ্রিস সরকারকে।

গ্রিক প্রধানমন্ত্রী এ্যালেক্সিস সিপ্রাসের দেওয়া এই প্রস্তাবনার বিষয়ে দেশটির পার্লামেন্টে শুক্রবার ভোটাভুটি অনুষ্ঠিত হবে। এরপর শনিবার তা বিবেচনার জন্য ইউরোজোনের অর্থমন্ত্রীদের কাছে উঠানো হবে।

ব্রাসেলসে আগামী রবিবার অনুষ্ঠিতব্য ইউরোজোনের নেতাদের সম্মেলনে প্রস্তাবনাটির বিষয়ে চূড়ান্ত সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে।

এর আগে ঋণদাতাদের দেওয়া কর বৃদ্ধিসহ ব্যয় সংকোচন নীতির বিরোধিতা করে তাদের শর্ত প্রত্যাখ্যান করেন সিপ্রাস। এ সময় আন্তর্জাতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ) ঋণ পরিশোধ না করায় ঋণখেলাপিতে পরিণত হয় দেশটি।

পরবর্তী সময়ে ইউরোপীয় কেন্দ্রীয় ব্যাংক (ইসিবি) গ্রিসের ব্যাংকগুলোর জন্য অর্থছাড় বন্ধ করে দেয়। এ অবস্থায় তারল্য সঙ্কট মোকাবেলায় গ্রিসের ব্যাংকগুলো বন্ধ করে দেওয়া হয়। এখনও দেশটির ব্যাংকগুলো বন্ধ রয়েছে।

ঋণদাতাদের দেওয়া শর্ত মেনে নেবে কি না— এ বিষয়ে গণভোটেরও আয়োজন করেন সিপ্রাস। গণভোটে বেশিরভাগ গ্রিক শর্ত মেনে না নেওয়ার পক্ষেই থাকে।

নিজের পক্ষে পাওয়া গ্রিকদের এ রায়ের পরই ঋণদাতাদের কাছে নতুন প্রস্তাবনা পেশ করলেন সিপ্রাস।



মন্তব্য চালু নেই