কায়রোয় ব্রাদারহুডের ১৩ কর্মীকে হত্যা
মিশরের সিনাই উপত্যকায় সেনাবাহিনীর চেকপোস্টে ভয়াবহ সন্ত্রাসী হামলার পর দেশটিতে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু করেছে নিরাপত্তা বাহিনী।
বিশেষ সূত্র জানায়, কায়রোর উপকণ্ঠে একটি এপার্টমেন্টে বুধবার অভিযান চালিয়ে প্রাক্তন পার্লামেন্ট সদস্য নাসের আল-হাফিসহ মুসলিম ব্রাদারহুডের ১৩ সদস্যকে গুলি করে হত্যা করে মিশরীয় পুলিশ।
এ হত্যাকাণ্ডের বিরুদ্ধে কঠোর হুঁশিয়ারি দিয়ে মুসলিম ব্রাদারহুড তাদের নেতা-কর্মী-সমর্থকদের ‘বিপ্লব’ আয়োজনের আহ্বান জানিয়েছে।
আলজাজিরার খবরে বলা হয়, আটক নেতা-কর্মীদের মুক্তির বিষয়ে করণীয় ঠিক করতে ওই অ্যাপার্টমেন্টে সভা ডাকে মুসলিম ব্রাদারহুড। এ সময় সেখানে অভিযান চালায় পুলিশ।
মিশরীয় স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় জানায়, মুসলিম ব্রাদারহুডের নেতা-কর্মীরা হামলার ষড়যন্ত্র করতেই সেখানে মিলিত হয়েছিল। সেখানে ব্রাদারহুডের বেশ কয়েকজন পলাতক নেতা ছিল। তাদের মধ্যে দুইজন মৃত্যুদণ্ডপ্রাপ্ত।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রণালয়ের এক বিবৃতিতে বলা হয়েছে, তদন্তকারীরা ঘটনাস্থল থেকে অস্ত্র, ৪৩ হাজার মিশরীয় পাউন্ড, বিভিন্ন নথি, ও মেমরিকার্ড উদ্ধার করেছেন। তারা সেনাবাহিনী, পুলিশ, বিচারব্যবস্থা ও মিডিয়ার ওপর হামলার পরিকল্পনা করছিলেন।
ব্রাদারহুড সমর্থক মুসলিমপন্থি টিভি চ্যানেল মেকামেলিন জানিয়েছে, নেতাদের একটি ঘরে আটকে রেখে কোনো তদন্ত ও মামলা ছাড়াই তাদের ঠান্ডা মাথায় হত্যা করা হয়।
বিবৃতিতে মুসলিম ব্রাদারহুড এ হত্যাকাণ্ডকে সন্ত্রাসের মারাত্মক প্রতিক্রিয়া হিসেবে বর্ণনা করেছে। আবদেল ফাত্তাহ আল সিসি (মিশরীয় প্রেসিডেন্ট) ও তার সাঙ্গ-পাঙ্গরা এ রকম অপরাধের জন্য দায়ী এবং এর ফল তাদেরই ভোগ করতে হবে।
মিশর রক্ষার দাবি জানিয়ে বিবৃতিতে আরো বলা হয়, ‘আপনাদের মাতৃভূমি, আপনাদের জীবন ও শিশুকে রক্ষায় বিপ্লবে উজ্জীবিত হন। এই খুনিরা মাতৃভূমির বিরুদ্ধে বিশাল ও নারকীয় হত্যাযজ্ঞে মেতে ওঠেছে। এ হায়েনা, খুনিকে বিতারিত করুন। ধ্বংস করুন অবিচারের খেলাঘর এবং রুখে দাঁড়ান অত্যাচার। আরেকবার মিশরকে শান্ত করুন।’
বুধবার সিনাহ উপত্যকায় সেনাবাহিনীর বেশ কয়েকটি চেকপয়েন্টে হামলা চালায় একটি সন্ত্রাসী গ্রুপ। এতে ১০০ জঙ্গি ও ১৭ মিশরীয় সেনা নিহত হয়। কায়রোয় গাড়ি বোমা হামলায় দেশটির প্রধান কৌঁসুলি (এটর্নি জেনারেল) নিহত হওয়ার দুদিন পর ওই হামলার ঘটনা ঘটে।
তথ্যসূত্র : আলজাজিরা।
মন্তব্য চালু নেই