জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে আলাদা হতে চাননা বেশিরভাগ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীরা
জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় থেকে সরকারি কলেজগুলোকে দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের সাথে নিয়ে যাওয়ার সরকারি সিদ্ধান্ত থেকে সরকারকে সরে আসার দাবী রাজধানীর বেশিরভাগ সরকারি কলেজের শিক্ষার্থীদের। রাজধানীর বিভিন্ন সরকারি কলেজে সরেজমিনে গিয়ে এমন অভিব্যক্তিই পাওয়া যায় শিক্ষার্থীদের কাছ থেকে। শিক্ষার্থীরা আরো বলছেন, সেশানজট সমস্যার মূলে রয়েছে হরতাল-অবরোধের মতো রাজনৈতিক কর্মসূচি। এসব কর্মসূচি থেকে বেড়িয়ে না আসতে পারলে কোন বিশ্ববিদ্যালয়কেই সেশানজটমুক্ত করা সম্ভব নয়। সরকারি কলেজগুলোকে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় রেখেই কিভাবে সেশানজটমুক্ত করা যায় সে ব্যাপারে সিদ্ধান্ত গ্রহণের জোড় দাবী শিক্ষার্থীদের।
সরকারি তিতুমির কলেজের শিক্ষার্থী সাইফুল ইসলাম বলেন, দেশের অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোর অধিভুক্ত সরকারি কলেজগুলোর শিক্ষার্থীদেরকে সেশানজট থেকে মুক্ত করার জন্য ১৯৯২ সালে জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় গঠন করা হয়। অথচ বর্তমানে সরকার সিদ্ধান্ত নিয়েছে আবার সরকারি কলেজগুলোকে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের আওতায় নিবে। যেখানে পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে সাধারণভাবেই ১ থেকে দেড় বছরের সেশানজট লেগে আছে সেখানে আবার সরকারি কলেজগুলোকে অধিভুক্ত করলে আমি মনে করি সেশানজট বাড়বে বৈ কমবে না।
ঢাকা কলেজের শিক্ষার্থী আমিরুল ইসলাম বলেন, একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশানজট লাগার মূল কারণ হচ্ছে অবরোধ-হরতালের মত রাজনৈতিক কর্মসূচি। এসব কর্মসূচি থেকে রাজনৈতিক দলগুলো বেড়িয়ে না আসলে কোন বিশ্ববিদ্যালয়কেই সেশানজটমুক্ত করা সম্ভব নয়। জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ে সেশানজটের যে সমস্যাটি রয়েছে সে সমস্যা থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য ইতোমধ্যেই যে ক্রাশ প্রোগ্রামের ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে তার সুফল শিক্ষার্থীরা পাচ্ছে। এছাড়াও এই সমস্যা থেকে বেড়িয়ে আসার জন্য অনেক পদক্ষেপ গ্রহণের কথা শুনেছি। তবে এগুলো কার্যকর করার সময় জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়কে দেয়া উচিত বলে আমি মনে করি।
কবি নজরুল কলেজের শিক্ষার্থী আরিফ হোসেন বলেন, আমরা যারা জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থী তাঁরা অভিন্ন একটি সিলেবাসের মাধ্যমে পড়াশোনা করছি। সরকারি কলেজগুলোতে যে সিলেবাস বেসরকারি কলেজগুলোতেও একই সিলেবাস। সার্টিফিকেটের মানও সবই একরকম। যদি সরকারি কলেজগুলোকে আলাদা করা হয় এবং অন্যান্য পাবলিক বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে নেয়া হয় তাহলে সবচেয়ে বেশি ক্ষতিগ্রস্ত হব আমরা শিক্ষার্থীরা। কারো সাথে কারো সিলেবাসের কোন মিল খুজে পাওয়া যাবে না এবং একেক জনের সার্টিফিকেটর মান একেক রকম হয়ে যাবে।
মন্তব্য চালু নেই