পুলিশের অভিনব এক ‘বিকাশ’ কৌশল
রিমি নামের এক শিশুকে আশুলিয়া থেকে অপহরণ করে নরসিংদী নিয়ে যায় একটি চক্র। পরে পরিবারের কাছে মুক্তিপণ চায় ২ লাখ টাকা। ওই টাকা বিকাশের মাধ্যমে পাঠিয়ে দিতে বলে চক্রটি।
কথা মতো টাকাও পাঠানো হয় তাদের নম্বরে। তবে ২ লাখ নয় ৫ হাজার। তাদের অবস্থান সনাক্ত করতেই পুলিশ এ কৌশল নেয়। অবশেষে তাদের অবস্থান সনাক্ত করে উদ্ধার করা হয় ওই শিশুকে সঙ্গে আটক করা হয় অপহরণকারী চক্রের এক সদস্যকেও।
গত ২৯ জুন সোমবার সন্ধ্যার পর রিমি (৩) নামের ওই শিশুকে অপহরণ করে নেয়ার পর বুধবার দুপুরে নরসিংদীর মাধবদী শেখেরচর এলাকা থেকে শিশুটিকে উদ্ধার করা হয়।
সে আশুলিয়ার চাঁনগাও এলাকার টেইলার্স ব্যবসায়ী আব্দুর রশিদের মেয়ে। এ সময় ঘটনার সাথে জড়িত থাকার দায়ে আরিফ নামের এক অপহরনকারীকে আটক করা হয়।
অপহৃতের বাবা আব্দুর রশিদ ও পুলিশ জানায়, সোমবার ইফতারের পর আশুলিয়ার চাঁনগাও এলাকায় আব্দুর রশিদের শিশু কন্যা রিমিকে অপহরণ করে তারই দোকানের কর্মচারী মামুন। এরপর মুঠোফোনে রিমির পরিবারের কাছে দুই লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে অপহরণকারী।
এ ঘটনায় রিমির বাবা আশুলিয়া থানায় শিশু অপহরণের একটি অভিযোগ দায়ের করেন। পরে পুলিশ অপহরণকারীর অবস্থান নিশ্চিত করতে তাদের বিকাশ নাস্বারে ৫ হাজার টাকা বিকাশ করে পাঠিয়ে দেন।
এরই সূত্র ধরে বুধবার দুপুরে আশুলিয়া থানার উপপরিদর্শক (এসআই) এএফএম সায়েদের নেতৃত্বে পুলিশের একটি নরসিংদী জেলার মাধবদী শেখেরচর এলাকায় অভিযান চালিয়ে শিশু রিমিকে উদ্ধার করে।
এ সময় আরিফ নামের এক অপহরনকারীকে আটক করে পুলিশ। কিন্তু প্রধান অপহরণকারী মামুন পুলিশের উপস্থিতি টের পেয়ে পালিয়ে যায়।
এ ব্যাপারে আশুলিয়া থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মখর্তা (ওসি) মোস্তফা কামাল বলেন, ‘অপহৃত শিশু রিমিকে উদ্ধার করা হয়েছে। ঘটনার জড়িত প্রধান আসামি মামুনসহ অপর আসামিদের গ্রেপ্তারের অভিযান অব্যাহত রয়েছে।’
মন্তব্য চালু নেই