চলতি মাসেই যাত্রী পরিবহন করবে অত্যাধুনিক জাহাজ এম.ভি মধুমতি

ঈদ মৌসুমে দক্ষিণাঞ্চলের যাত্রীদের দুর্ভোগ লাঘবে চলতি মাসেই ঢাকা-বরিশাল নৌরুটে যাত্রী পরিবহন শুরু করবে অত্যাধুনিক যাত্রীবাহী জাহাজ এম.ভি মধুমতি। প্রায় ২৭ কোটি টাকা ব্যয়ে নির্মিত বিআইডব্লিউটিসির বিলাস বহুল এ জাহাজের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৭৫০জন। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আনুষ্ঠানিক ভাবে এম.ভি মধুমতি উদ্বোধণ করবেন।

বিআইডব্লিউটিসি’র প্রধান কার্যালয়ের জনসংযোগ কর্মকর্তা নজরুল ইসলাম মিশা জানান, চলতি মাসেই মধুমতি যাত্রী পরিবহন করবে। মধুমতি উদ্বোধনের জন্য প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরে ইতোমধ্যে একটি প্রস্তাবও পাঠানো হয়েছে। নৌ-মন্ত্রী শাজাহান খান-এমপি অতিসম্প্রতি জাহাজটি পরিদর্শন করেছেন। এ বিষয়ে তিনি প্রধানমন্ত্রীর সাথেও কথা বলেছেন বলে সূত্রটি নিশ্চিত করেছেন।

বিআইডব্লিউটিসি সূত্রে জানা গেছে, ওয়েস্টার্ন মেরিন কোম্পানীর সাথে ২০১২ সালের ৪ অক্টোবর মধুমতি নির্মাণে চুক্তি হয়। এর ব্যয় ধরা হয় ২৬ কোটি ৫৯ লাখ টাকা। দ্বিতলা বিশিস্ট জাহাজের যাত্রী ধারণ ক্ষমতা ৭৫০ জন। দৈর্ঘ্য ৭৫ পয়েন্ট ৫০ মিটার এবং প্রস্থ ১২ পয়েন্ট ৫০ মিটার। সূত্রে আরও জানা গেছে, জাহাজে মোট ভিআইপি কেবিন রয়েছে চারটি (গোলাপ, শাপলা, টিউলিপ, পদ্ম)। প্রথম শ্রেণীর সিঙ্গেল কেবিন ২২টি, প্রথম শ্রেণীর ডাবল কেবিন ৩৪টি এবং দ্বিতীয় শ্রেণীর চেয়ার সিট রয়েছে ৪২টি। ডেকে প্রায় সাড়ে ৫’শ যাত্রীর জায়গা রয়েছে।

এম.ভি মধুমতির মাস্টার ক্যাপ্টেন আবিদ মোহাম্মদ বদরুল আলম বলেন, মধুমতি যাত্রী সেবা দিতে সম্পূর্ণ প্রস্তুত। দক্ষিণাঞ্চলের বেসরকারি জাহাজের চেয়ে মধুমতি সম্পূর্ণ আলাদা। যাত্রীদের যাত্রাপথ হবে স্বাচ্ছন্দ ও আরামদায়ক। সকল টেবিল ও চেয়ার সিট অত্যাধুনিক। ঝড় বইলেও অত্যাধুনিক এ জাহাজের যাত্রীরা কোন টের পাবেন না। তিনি আরও বলেন, স্টিমার সার্ভিসের ন্যায় এ জাহাজটি সার্ভিস দেবে। এম.ভি মধুমতির প্রকৌশলী কৃষ্ণ গোপাল সাহা বলেন, এম.ভি মধুমতি জাহাজে জাপানের শক্তিশালী দুটি ইঞ্জিন বসানো হয়েছে। জাহাজের হস্তান্তর ও ট্রায়ালও হয়ে গেছে। বর্তমানে জাহাজটি ঢাকায় আছে।

বিআইডব্লিউটিসি’র ঢাকা সদরঘাটের এজিএম খালেদ নেওয়াজ বলেন, মধুমতি খুব শীঘ্রই সার্ভিসে আসছে। এ ব্যাপারে বিআইডব্লিউটিসির প্রধান কার্যালয়ের উপ-মহাব্যবস্থাপক এম.এ মতিন বলেন, এম.ভি মধুমতি উদ্বোধনের প্রস্তুতি চলছে। চলতি মাসের যে কোনদিন এটি উদ্বোধণ করা হবে বলেও তিনি জানান।



মন্তব্য চালু নেই