সুচিত্রা ভট্টাচার্য আর নেই

বাংলা সাহিত্যের জনপ্রিয় লেখক সুচিত্রা ভট্টাচার্য আর নেই। মঙ্গলবার স্থানীয় সময় রাত এগারোটা নাগাদ হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে কলকাতায় নিজ বাড়িতে মৃত্যুর কোলে ঢলে পড়েন তিনি। মৃত্যুকালে তার বয়স হয়েছিল ৬৫ বছর।

পশ্চিমবঙ্গের সাহিত্যিক সূচিত্রা ভট্টাচার্য তার লেখা কাছের মানুষ, দহন, কাঁচের দেয়াল, অলীক সুখসহ অনেক পাঠকপ্রিয় বইয়ের কল্যাণে সুপরিচিত ছিলেন বাংলাদেশের পাঠক মহলেও। তার আকস্মিক মৃত্যুর খবরে পশ্চিম বাংলার সাহিত্যিক মহলে নেমে এসেছে শোকের ছায়া। কথা সাহিত্যিক শীর্ষেন্দু মুখোপাধ্যায় বলেন, ‘বজ্রাঘাতের মতো মনে হচ্ছে। এই তো সে দিন দেখা হল, ফোনে কথা হল। এভাবে যে চলে যাবেন ভাবতেই পারিনি।’ একই ধরনের প্রতিক্রিয়া ব্যক্ত করেছেন বাণী বসু এবং তিলোত্তমা মজুমদার।

তার মৃত্যুতে শোক প্রকাশ করেছেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।

সূচিত্রা ভট্টাচার্যের জন্ম ১৯৫০সালে ভাগলপুরে। তার লেখা উপন্যাস অবলম্বনে কলকাতায় বহু ব্যবসা সফল চলচ্চিত্র নির্মিত হয়েছে। তার উপন্যাস নিয়ে বাংলাদেশেও ধারাবাহিক নাটক তৈরি হয়েছে। কলকাতা বিশ্ববিদ্যালয়ের স্নাতক ডিগ্রিধারী সুচিত্রা কম বয়স থেকেই লেখালেখি শুরু করেছিলেন। বিয়ের পর কিছুদিন বিরতির পর আবার লেখালেখি শুরু করেন। তবে তাঁর বিপুল জনপ্রিয়তার শুরু নব্বইয়ের দশকে। ‘কাচের দেওয়াল’, ‘কাছের মানুষ’, ‘দহন’, ‘হেমন্তের পাখি’, ‘নীল ঘূর্ণি’, ‘অলীক সুখ’-এর মতো উপন্যাস এবং বেশ কিছু ছোট গল্প তাঁকে বহুলপঠিত লেখকের আসনে বসায়। ২০০৪ সালে সরকারি চাকরি ছেড়ে পুরোপুরি লেখাতেই মনোনিবেশ করেন সুচিত্রা। শহুরে মধ্যবিত্ত জীবন ও তার টানাপড়েন এবং নারীরা ছিল তাঁর লেখার প্রিয় বিষয়।

আগামী বুধবার প্রয়াত এই লেখকের শেষকৃত্য হওয়ার কথা রয়েছে।



মন্তব্য চালু নেই