কৃষককে বিয়ে করলেন মন্ত্রী

এক কৃষককে বিয়ে করলেন কেরলের এক মন্ত্রী। কেরলের কংগ্রেস নেতৃত্বাধীন ইউডিএফ মন্ত্রিসভার একমাত্র মহিলা সদস্যা পি কে জয়লক্ষ্মী রবিবার চিরাচরিত হিন্দু উপজাতি প্রথা মেনে গাঁটছড়া বাঁধলেন এক কৃষকের সঙ্গে। এই বিয়ে ঘিরে বেশ আগ্রহ দেখা গিয়েছে রাজ্যে। গতকাল কেরলের বিভিন্ন টেলিভিশন চ্যানেলে রাজনাতি জগতের নক্ষত্রখচিত এই বিয়ের অনুষ্ঠানের সরাসরি সম্প্রচার করা হয়।

ভালাডুর মামবায়িলে উপজাতি ও যুবকল্যাণমন্ত্রীর বিয়ের অনুষ্ঠানে হাজির ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী ওমেন চন্ডী, বিরোধী দলনেতা তথা প্রাক্তন মুখ্যমন্ত্রী ভি এস অচ্যূতানন্দন সহ রাজ্য মন্ত্রিসভার সদস্যরা।

রবিবার সকালে উপজাতি প্রথা ‘কুরিচিয়া’ সম্পন্ন হয়। এরপর জয়লক্ষ্মী চন্ডী ও অচ্যূতানন্দনকে প্রণাম করেন। তাঁর পরণে ছিল সিল্ক শাড়ি। বর সি এ অনিল কুমার সাদা জামা ও মুণ্ডু পরেছিলেন। জুঁই ফুলের মালাবদলের পর বিয়ে সম্পন্ন হল। নবদম্পতির ওপর পুষ্পবৃষ্টি করলেন আত্মীয়-পরিজনরা।

জয়লক্ষ্মীর স্বামী তাঁর বাবার সম্পর্কিত নাতি।কুরুচিয়া উপজাতিভুক্ত জয়লক্ষ্মী প্রথা মেনে বিয়ের সময় কোনও কথা বলেননি। উপজাতিদের মধ্য কুরুচিয়া ব্রাহ্মণ পর্যায়ভুক্ত।ব্রিটিশ আমলে ওয়েনাড় জেলায় স্থানীয় এক রাজার সেনা হিসেবে যুদ্ধে লিপ্ত হয়েছিলেন কুরুচিয়ারা যোদ্ধারা।কেরলে উপজাতিদের মধ্যে কুরুচিয়া সম্প্রদায় শিক্ষা ও আর্থিকভাবে অনেকটাই এগিয়ে। এই সম্প্রদায় শিকারে পারদর্শী। জয়লক্ষ্মী তো একজন দক্ষ তিরন্দাজও। তিনি অনেক প্রতিযোগিতায় সাফল্যও পেয়েছেন। তাঁর পরিবার কুরুচিয়া যৌথ পরিবারের ঐতিহ্যে বিশ্বাসী।

তাঁর তিন বোনের আগেই বিয়ে হয়ে গিয়েছে। ৩০-এর কোটায় বয়স হলেও রাজনৈতিক কাজকর্মে জড়িত থাকায় এতদিন বিয়ে করা হয়ে ওঠেনি তাঁর।



মন্তব্য চালু নেই