সীমান্ত বিলে ত্রুটি, ভারতের পার্লামেন্টে উঠছে কাল
সীমান্ত চুক্তিসংক্রান্ত ভারতের সংবিধান সংশোধনী বিলের খসড়ায় ত্রুটি ধরা পড়েছে। এটি ভারতের সংবিধানের ১০০তম সংশোধনী। কিন্তু দেশটির পার্লামেন্টে যে খসড়াটি উত্থাপন করা হয়েছে তাতে বিলটিকে ১১৯তম সংশোধনী বলা হয়েছে। ভারতের উপ-রাষ্ট্রপতি এ ত্রুটিকে অগ্রহণযোগ্য হিসেবে অভিহিত করে দারুণভাবে ক্ষোভ ও হতাশা ব্যক্ত করেছেন। বিলটি নতুন করে পার্লামেন্টে পাস করাতে হবে। এ লক্ষ্যে আগামীকাল ভারতের পার্লামেন্টে এ বিল পুনরায় উত্থাপন করা হচ্ছে।
নয়াদিল্লি থেকে ইকোনমিক টাইমস পত্রিকায় প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে বলা হয়, খসড়া প্রণয়নে তাড়াহুড়ো করতে গিয়ে এ ধরনের অর্থহীন ভুল করা হয়েছে। খসড়া প্রণয়নে সংশ্লিষ্টরা সামান্যতম সতর্ক থাকলেও এমন ভুল হওয়ার কথা নয়। ফলে নতুন করে বিল পাসের গোটা প্রক্রিয়া অনুসরণ করতে হবে। বাংলাদেশ-ভারত সীমান্ত চুক্তি বাস্তবায়নের লক্ষ্যে সদ্য পাস হওয়া বিলে এমন ত্রুটির কথা জানতে পেরে সংশ্লিষ্ট কর্মকর্তাদের কাছে অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন হামিদ আনসারি।
ভারতের পার্লামেন্টে এমন ত্রুটি অবশ্য নতুন নয়। খসড়ায় বারবার ভুল করায় হামিদ আনসারি এই অসন্তোষ প্রকাশ করেছেন। যে দল বা জোটই ক্ষমতায় থাকুক না কেন ভারতে আইন প্রণয়নের খসড়ায় এমন ভুলের পুনরাবৃত্তি ঘটেই চলেছে। বিগত কংগ্রেস জোট সরকারের আমলে অন্ধ্র প্রদেশকে পুনর্বিন্যাস করে তেলেঙ্গানা রাজ্য প্রতিষ্ঠার বিলে অন্ধ্র প্রদেশের হাইকোর্ট দ্বিখণ্ডিত করার কথা খসড়ায় উল্লেখ করা হয়নি। বিলে শুধু বলা হয়েছিল যে, অন্ধ্র প্রদেশ একটি নতুন কোর্ট লাভ করবে। কংগ্রেস আমলে হুইসেল ব্লুয়ার অ্যাক্ট পাসের সময়েও খসড়ায় ভুল ধরা পড়েছিল। তারপর বিলটি ফের উত্থাপন করতে হয়েছিল। ২০০৫ সালে একটি খসড়ায় ভুলের কারণে সোনিয়া গান্ধীকে এমপি পদ থেকে পদত্যাগ করতে হয়েছিল। পরে ওই আসনে পুনর্র্নিবাচন হয়।
হামিদ আনসারি বলেছেন, পার্লামেন্টে খসড়া প্রণয়ন এবং তার যাচাই-বাছাই প্রক্রিয়ায় উন্নয়ন ঘটাতে হবে। তিনি কর্মকর্তাদের তথ্য-উপাত্তের বিষয়ে উপযুক্ত নোট নেয়ার পরামর্শ দেন। এদিকে, ঢাকার একটি কূটনৈতিক সূত্র জানিয়েছে, ভারতের পার্লামেন্টের বাজেট অধিবেশন ৮ মে শেষ হয়ে যাওয়ার কথা ছিল। কিন্তু সীমান্ত চুক্তি বিলে ত্রুটি ধরা পড়ায় অধিবেশনের মেয়াদ বাড়ানো হয়েছে। সোমবার এ বিল পুনরায় পার্লামেন্টে উত্থাপন করে পাস করানো হবে।
মন্তব্য চালু নেই