যুক্তরাষ্ট্রে ৩ মুসলিম শিক্ষার্থীকে হত্যা

মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে শ্বেতাঙ্গ ঘাতক

যুক্তরাষ্ট্রের নর্থ ক্যারোলিনা অঙ্গরাজ্যে গত ফেব্রুয়ারি মাসে তিন মুসলিম শিার্থীকে মাথায় অস্ত্র ঠেকিয়ে গুলি করে হত্যা করে এক শ্বেতাঙ্গ। মধ্যবয়সী ওই ঘাতক হতভাগ্য শিার্থীদের বাসভবনে ঢুকে এ বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড চালায় বলে ময়নাতদন্তের রিপোর্টে জানা গেছে।

নর্থ ক্যারোলিনা বিশ্ববিদ্যালয়ের চ্যাপেল হিল ক্যাম্পাসে গত ১০ ফেব্রুয়ারি পাশবিক হত্যাকাণ্ডের শিকার হন মুসলিম ছাত্র দিয়াহ শ্যাডি বারাকাত (২৩), তার স্ত্রী ইয়োসর মোহাম্মাদ আবু সালহা (২৩) ও ইয়োসেরের বোন রাজান মোহাম্মাদ আবু সালহা (১৯)।

বুধবার প্রকাশিত ময়নাতদন্তের রিপোর্টে বলা হয়েছে, নিজ অ্যাপার্টপেন্টের দরজা খুলে দেয়ার সাথে সাথে বারাকাতের মাথা ও বুকে অস্ত্র ঠেকিয়ে বেশ কয়েকটি গুলি করে শ্বেতাঙ্গ মার্কিনি ক্রেগ স্টিফেন হিক্স। এরপর বারাকাতের স্ত্রী ও শ্যালিকারও মাথা ল্য করে গুলি চালায় বর্বর হিক্স। ময়নাতদন্তের রিপোর্টে আরো বলা হয়েছে, দুই নারীকে হত্যার সময় ঘাতক তাদের দেহের ওপর চড়াও হয়েছিল। কারণ ইয়োসেরকে হত্যা করা হয় কপালে গুলি করে এবং তার বোনেরও মাথার ওপরের অংশে গুলি করা হয় এবং সে বুলেট শরীরের নিচের দিকে ঢুকে যায়।

গত মাসে যুক্তরাষ্ট্রের একজন বিচারক তার রুলে বলেন, সরকারি কৌঁসুলিরা হিক্সের বিরুদ্ধে মৃত্যুদণ্ডের আবেদন জানাতে পারেন। তার বিরুদ্ধে তিনটি হত্যাকাণ্ডের অভিযোগ আনা হয়েছে। ৪৬ বছর বয়সী হিক্সকে নর্থ ক্যারোলিনার একটি কারাগারে আটক রাখা হয়েছে।

ফেব্রুয়ারি মাসের ওই বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ডের পরপরই পুলিশ পার্কিংয়ের জায়গা দখলকে কেন্দ্র করে এক বাদানুবাদের সূত্র ধরে এ হত্যাকাণ্ডের তদন্ত শুরু করে। কিন্তু নিহত মুসলিম শিার্থীদের পরিবার এ বিষয়টি প্রত্যাখ্যান করে জানায়, চরম মুসলিমবিদ্বেষী মনোভাব থেকে এ বর্বরোচিত হত্যাকাণ্ড হয়েছে। এরপর বিশ্বজুড়ে নিন্দার ঝড় বয়ে যায় এ কারণে যে, শুধু মুসলমান হওয়ার অপরাধে প্রাণ দিতে হয়েছে তিনজন মেধাবী শিার্থীকে।



মন্তব্য চালু নেই