থাইল্যান্ডে নির্যাতন শিবির উচ্ছেদে ডেডলাইন
থাইল্যান্ডের জঙ্গলে আরও ৩০ কবর
থাইল্যান্ডের সঙ্খলায় অবৈধ রোহিঙ্গা অভিবাসীদের একটি পরিত্যাক্ত আটক শিবিরের ভেতরে নতুন করে আরও ৩০টি কবরের সন্ধান পাওয়া গেছে। বৃহস্পতিবার পুলিশ জানিয়েছে হাত হাই জেলার বান চালুং গ্রামে নতুন এ কবরগুলির সন্ধান পাওয়া গেছে।
মালয়েশিয়া সীমান্তবর্তী শংখলা প্রদেশের প্রত্যন্ত সাদাও এলাকার জঙ্গলে গত ছয় দিনে মানব পাচারকারীদের অন্তত পাঁচটি ঘাঁটির সন্ধান পেয়েছে থাই পুলিশ। প্রথম সন্ধান পাওয়া ঘাঁটিতে একটি গণকবর থেকে গত শুক্র ও শনিবার ২৬টি দেহাবশেষ উদ্ধার করা হয়। ওই সময় ওই এলাকা থেকে মুমূর্ষ অবস্থায় এক বাংলাদেশিকে উদ্ধার করা হয়। বুধবার আরেকটি ঘাঁটি থেকে উদ্ধার করা হয় আরও ছয়টি মৃতদেহ। দেহাবশেষগুলো পাচার হওয়া বাংলাদেশি ও রোহিঙ্গাদের বলে ধারণা করা হচ্ছে।
বৃহস্পতিবার বান চালুং গ্রামে যে স্থানটিতে নতুন ৩০টি কবরের সন্ধান পাওয়া গেছে সে বিষয়ে গ্রামবাসী জানিয়েছে, সেটি অনেক পুরাতন একটি মুসলমান কবরস্থান। এটি ৪০ বছর ধরে পরিত্যাক্ত আছে। সর্বশেষ এখানে ছয়টি কবর ছিল। তার পুলিশকে জানিয়েছে, গত এক বছরে সেখানে এই তিরিশটি কবর হয়েছে।
পুলিশ জানিয়েছে, সাদাওয়ের জঙ্গলে রোহিঙ্গা অভিবাসীদের যে কবরগুলি পাওয়া গেছে নতুন এই কবরগুলি ওইগুলির মতোই। তবে এগুলি এখনও খুঁড়ে দেখা হয়নি।
এদিকে পুলিশ আরও জানিয়েছে, সঙ্খলা প্রদেশের রত্তাফাম জেলার একটি রাবার বাগানে নতুন আরেকটি রোহিঙ্গা নির্যাতন শিবিরের সন্ধান পাওয়া গেছে। ধারণা করা হচ্ছে মালেয়শিয়া সীমান্ত পাড়ি দেয়ার আগে এ জায়গাটি পাচারকারীরা বিশ্রামস্থল হিসেবে ব্যবহার করতো।
মন্তব্য চালু নেই