বরিশালে ধর্ষিতা যুবতীকে হাসপাতাল ত্যাগের হুমকি
শেবাচিম হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ধর্ষিতা যুবতীকে নিয়ে হাসাপাতাল ত্যাগের জন্য সোমবার রাতে ধর্ষকের ভাড়াটিয়া লোকজনে হুমকি দিয়েছে বলে অভিযোগ পাওয়া গেছে। হুমকির মুখে ধর্ষিতার স্বজনেরা এখন চরম নিরাপত্তাহীনতায় ভূগছেন। মঙ্গলবার সকালে ধর্ষিতা যুবতীর আত্মীয় পরিতোষ শীল এ অভিযোগ করেন।
হাসপাতালে শষ্যাশয়ী জেলার গৌরনদী উপজেলার নলচিড়া ইউনিয়নের বদরপুর গ্রামের জীবন চন্দ্র শীলের কন্যা (১৯) জানান, প্রেমের সম্পর্কে বিয়ের প্রলোভনে জোরপূর্বক তাকে একাধিকবার ধর্ষণ করে একই গ্রামের চিত্ত রঞ্জন শীলের পুত্র অভিজিত চন্দ্র শীল (২২)। এতে সে তিন মাসের অন্তস্বত্তা হয়ে পরে। পরবর্তীতে বিয়ের জন্য প্রেমিক অভিজিতকে চাঁপ প্রয়োগ করলে সে বিয়ে করতে অস্বীকৃতি জানিয়ে নানা তালবাহানা শুরু করে। ধর্ষিতা যুবতী আরো জানান, গত এক সপ্তাহ পূর্বে প্রেমিক অভিজিত ও তার মা সবিতা রানী শীল নাটকীয়ভাবে তার গর্ভের সন্তাান নস্ট করার জন্য জোরপূর্বক তাকে ঔষধ সেবন করিয়ে দেয়। এতে সে অসুস্থ্য হয়ে পরলে স্থানীয় এক পল্লী চিকিৎসকের মাধ্যমে তার চিকিৎসা করানো হয়। একপর্যায়ে রবিবার সকালে সে গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পরে। বিষয়টি বাড়ির লোকজনের কাছে জানালে তারা মুর্মুর্ষ অবস্থায় তাকে উদ্ধার করে গৌরনদী থানায় নিয়ে যায়। এসময় থানা পুলিশের পরামর্শে তাকে গৌরনদী হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। সেখানে তার অবস্থার অবনতি হলে তাৎক্ষনিক তাকে বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালের গাইনী বিভাগে ভর্তি করা হয়।
ওই যুবতীর আত্মীয় পরিতোষ শীল জানান, অতিরিক্ত রক্তক্ষরনের কারনে ইতোমধ্যে ধর্ষিতা যুবতীকে দু’ব্যাগ রক্ত দেয়া হয়েছে। তিনি অভিযোগ করেন, ধর্ষিতা যুবতীকে হাসপাতালে ভর্তি করায় সোমবার রাতে অভিজিতের ভাড়াটিয়া লোকজনে শেবাচিম হাসপাতালের কম্পাউন্ডে বসে তাকে অকথ্য ভাষায় গালিগালাজ করে। এসময় তারা ধর্ষিতা যুবতীকে নিয়ে হাসপাতাল ত্যাগের জন্য ও এ ঘটনায় মামলা দায়ের না করার জন্য তাকে বিভিন্ন ধরনের ভয়ভীতিসহ হুমকি প্রদর্শণ করে।
উল্লেখ্য, দাম্পত্য কলহের জেরধরে সম্প্রতি ওই যুবতীর বাবা-মায়ের সম্পর্কের বিচ্ছেদ ঘটে। এরপর থেকে ওই যুবতীর আশ্রয় মেলে একই গ্রামের নিকট আত্মীয় চিত্ত রঞ্জন শীলের বসত ঘরে। সে সুবাধে চিত্ত রঞ্জনের পুত্র অভিজিত চন্দ্র শীলের সাথে ওই যুবতীর প্রেমের সম্পর্ক গড়ে ওঠে।
মন্তব্য চালু নেই