বরিশালে ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব ॥ ভাই-বোনের মৃত্যু
আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত কারণে আকস্মিক ভাবে গত এক সপ্তাহ ধরে নগরীসহ জেলার বিভিন্ন উপজেলার ডায়রিয়ার প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে। এরইমধ্যে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হয়ে সোমবার বিকেলে সদর উপজেলার চরমোনাই ইউনিয়নের নলচর গ্রামের কাচাঁমাল ব্যবসায়ী শাহিন জোমাদ্দারের দুই সন্তান মারা গেছে। গুরুতর আহত হয়ে ওই পরিবারের ৫ সদস্য শেবাচিম ও সদর হাসপাতালে ভর্তি হয়েছেন।
নলচর গ্রামের ইউপি সদস্য মো. জাহাঙ্গীর হোসেন জানান, রবিবার দুপুর থেকে শাহিন জোমাদ্দারের পরিবারের সাত সদস্য ডায়রিয়ায় আক্রান্ত হন। প্রাথমিকভাবে তারা স্থানীয় পল্লী চিকিৎসক খলিলুর রহমানের মাধ্যমে চিকিৎসা নিলেও সোমবার দুপুরে সকলেই গুরুতর অসুস্থ্য হয়ে পরেন। একপর্যায়ে বাড়ির লোকজনে ওইদিন বিকেলে অসুস্থ্য সকলকেই বরিশাল শেবাচিম হাসপাতালে নেয়ার পথে শাহিনের একবছরের শিশু কন্যা সোহাগী ও ১০ বছরের পুত্র সন্তান সজল মারা যায়। গুরুতর অসুস্থ্য শাহিন জোমাদ্দার (৪৬) তার স্ত্রী তাসলিমা বেগম (৪০), পুত্র জুয়েল (১৬), রাহাত (৮) ও পাভেলকে (৩) শেবাচিম এবং সদর হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, গত এক সপ্তাহ ধরে আবহাওয়া পরিবর্তন জনিত কারণে (বিশেষ করে প্রচন্ড গরমে) গড়ে প্রতিদিন শেবাচিম ও সদর হাসপাতালে ১০ জন করে ডায়রিয়ায় আক্রান্ত রোগী ভর্তি হচ্ছেন। এছাড়াও বহিঃবিভাগে চিকিৎসা নিচ্ছেন আরো ২০জন রোগী। যাদের বেশির ভাগই শিশু ও বৃদ্ধ। এছাড়াও জেলার আগৈলঝাড়া, গৌরনদী, বাবুগঞ্জ, উজিরপুর, বানারীপাড়া, মুলাদী, হিজলা, মেহেন্দীগঞ্জ ও বাকেরগঞ্জ উপজেলা হাসপাতালেরও প্রায় একই অবস্থা।
এ ব্যাপারে জেলা সিভিল সার্জন ডা. এটিএম মিজানুর রহমান বলেন, ডায়রিয়া মোকাবেলায় আমাদের সকল ধরনের প্রস্তুতি রয়েছে। এজন্য হাসপাতালের চিকিৎসক ও নার্সদের পাশাপাশি গ্রাম পর্যায়ের স্বাস্থ্য কর্মীরাও কাজ শুরু করেছেন।
মন্তব্য চালু নেই