মার্কিন সেনাবাহিনীতে যৌন সহিংসতা বাড়ছে (ভিডিও)

অতীতের ধারাবাহিকতায় মার্কিন সেনাবাহিনীতে ২০১৪ সালেও ২০ হাজারের বেশি যৌন হেনেস্তার ঘটনা ঘটেছে। অনাকাঙ্ক্ষিত যৌন সম্পর্ক স্থানের ঘটনাও এর মধ্যে রয়েছে বলে একটি সমীক্ষায় ওঠে এসেছে।

মার্কিন সেনাবাহিনীর ১৭ হাজার সদস্যের ওপর এ সমীক্ষা চালিয়েছে থিংক ট্যাং হিসেবে পরিচিতি র‍্যান্ড করপোরেশন। যৌন সহিংসতার ঘটনা অব্যাহত রয়েছে বলে সমীক্ষায় আরও উঠে এসেছে।

যৌন সহিংসতার শিকার ৫৪ শতাংশ বলেছেন, তাদের চেয়ে উচ্চ পদের সেনা কর্মকর্তারা এ সব যৌন সহিংসতার সঙ্গে জড়িত ছিলেন। এ ছাড়া, ৮১ শতাংশ পুরুষ এবং ৮৯ শতাংশ নারী বলেছেন, সেনাবাহিনীর অপর কোনো সদস্য এ ঘটনার সঙ্গে জড়িত। এ ছাড়া, ৬৫ শতাংশ যৌন সহিংসতার ঘটনা জাহাজ বা সেনা স্থাপনায় ঘটেছে বলে এ সমীক্ষায় ওঠে এসেছে।

এ ছাড়া, পুরুষের তুলনায় নারীরা একাধিকবার যৌন সহিংসতার মুখে পড়েছে বলেও এ সমীক্ষায় দেখা গেছে। মার্কিন সেনাবাহিনীতে যৌন সহিংসতা একটি সাধারণ বিষয়ে পরিণত হয়েছে এবং নারীরাই সাধারণ ভাবে এ যৌন হামলার বেশি শিকার হয় বলে এ র‍্যান্ডের গবেষণায় দেখা গেছে।

এর অাগে ফরাসি বার্তা সংস্থা এএফপি মার্কিন এক সামরিক কর্মকর্তার বরাত দিয়ে খবর দিয়েছিলো, মার্কিন সামরিক বাহিনীতে নারী সেনাদের ওপর যৌন নির্যাতনের বিচার চাওয়ার পর হয়রানির ঘটনা অন্তত শতকরা আট ভাগ বেড়েছে।

এছাড়া, ধর্ষণ কিংবা যৌন হয়রানির শিকার নারী সেনাদের শতকরা ৬২ ভাগ জানিয়েছেন, তারা ঘটনার বিচার চাইতে গিয়ে বা অভিযোগ করার পর প্রতিশোধের মুখোমুখি হয়েছেন।

চলতি বছর প্রায় ৬,০০০ নারী সেনা তাদের কর্তৃপক্ষের কাছে যৌন হয়রানি বা নির্যাতনের অভিযোগ করেছেন। গত বছর এ সংখ্যা ছিল ৫,৫০০।

তবে, নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক সূত্র জানিয়েছে, ধর্ষণ ও যৌন নির্যাতনের শিকার নারী সেনার সংখ্যা এর চেয়ে অনেক বেশি। সম্ভাব্য নানা জটিলতা এড়াতে অনেকে অভিযোগ পর্যন্ত করেন নি।

অন্যদিকে, এক কর্মকর্তা দাবি করেন, দুই বছর আগে যেখানে সামরিক বাহিনীতে ২৬,০০০ নারী যৌন নির্যাতনের শিকার হয়েছিল সেখানে এ বছর তা কমে ১৯,০০০-এ নেমেছে। কমে আসার এ ঘটনাকে মার্কিন সেনা সদরদপ্তর পেন্টাগন উৎসাহব্যাঞ্জক বলে মনে করছে।

মার্কিন সামরিক বাহিনীতে নারী সেনাদের ওপর যৌন নির্যাতনের ঘটনা কমানোর জন্য ওবামা প্রশাসন এর আগে সমকামিতা বৈধ করে দিয়েছে।

ভিডিও



মন্তব্য চালু নেই