বিশ্বের শীর্ষ ও চমৎকার ৫টি মেঘবন
মেঘ বন সাধারণত ক্রান্তীয় এবং এর পার্শ্ববর্তী অঞ্চলে ঘন কুয়াশা এর কারনে সৃষ্টি হয়। এরা চিরহরিৎ বনের একটি বিশেষ অংশ। মেঘ বনের গঠন, স্থানের উচ্চতা এবং সাগরের নৈকট্যের উপর নির্ভর করে। এখানে মেঘ অরণ্যের সৃষ্টি হয়। সামনে থেকে দেখলে মনে হয়, হয়ত কল্পনার রাজ্যে ঘুরে বেড়ানো হচ্ছে।
১. মন্টে ভেরদে, কোস্টারিকা:
ন্যাশনাল জিওগ্রাফী চ্যানেলের টিম প্রকৃতির এই সুন্দর স্থাপত্যকে “মেঘবন ভাণ্ডারের মুকুটের মণি” বলে আখ্যায়িত করেছেন। এটি করডিলারে ডে তিলারান এর পুন্তানেরাস নামক একটি ছোট শহরে অবস্থিত। এই মেঘলা বনে মেঘের আড়ালে চোখ গেলেই দেখতে পাবেন অত্যন্ত সুন্দর অর্কিড ফুল। কারন, এই বনে প্রচুর পরিমাণে অর্কিড ফুল জন্মায়। এই দর্শনীয় বনের প্রকৃতি বিজ্ঞানীদের ও প্রকৃতি প্রেমীদের অনেক আকর্ষণ করেন।
২. ক্লাউড ফরেস্ট ইন সালটা, আর্জেন্টিনা:
আর্জেন্টিনার উত্তর-পশ্চিমাংশে সাল্টার পাহাড়ি অঞ্চলে এই মেঘবন অবস্থিত। সাল্টা একটি বিখ্যাত পর্যটন এলাকা। এটি শহরের নিকটে অবস্থিত একটি মেঘবন। এই বিখ্যাত মেঘবন ভ্রমণ করার সময় আপনি ঘোড়ায় চড়ার আনন্দ উপভোগ করতে পারেন। টিনটিন এর ম্যাগাজিনে যে বনের ছবি রয়েছে, এই বনটি দেখতে একদম সেই রকম।
৩. চিয়াং মাই, থাইল্যান্ড:
চিয়াং মাই মেঘবন থেকে সমগ্র থাইল্যান্ড দেখা যায়। থাইল্যান্ড এর এই মেঘবন স্থানীয় ও বাহিরের লোকদের জন্য অত্যন্ত জনপ্রিয়। এই মেঘবনের নিচু স্থান পিকনিক স্পট হিসেবে ব্যবহার করা হয়। মেঘবনে রয়েছে কিছু রহস্যময়ী জলপ্রপাত। মেঘবনের ট্রেক রুট খুব অন্তর্দৃষ্টিপূর্ণ এবং এর ফলে আপনি থাইল্যান্ডের গ্রামীণ জীবনধারা জানতে পারবেন।
৪. সিমিএন মাউন্টেইন, ইথিওপিয়া:
ইথিওপিয়ার খাঁজকাটা পর্বত ও গভীর উপত্যকা এর প্রকৃতিকে আরও সুন্দর ও সমৃদ্ধ করে তোলে। সিমিএন ন্যাশনাল পার্ক একটি ইউনেস্কো ওয়ার্ল্ড হেরিটেজ সাইট। এখানে দর্শনীয় জমি ও বিশালাকার ভবন রয়েছে। এখানে, বিভিন্ন ভূতের গল্পের প্রচার রয়েছে।
৫. তান্ডায়াপা মিন্ডো, ইকুয়েডর:
কুইটো থেকে উত্তর-পশ্চিমে ইকুয়েডর এর রাজধানী শহরে তান্ডায়াপা মিন্ডো একটি চিরহরিৎ ক্রান্তীয় পর্বত অবস্থিত। এটি একটি বৃত্তাকার বন। সারা বছর এটি সবুজে ঘেরা থাকে। ভ্রমণপ্রিয় মানুষ এ অঞ্চলটি অনেক বেশি পছন্দ করে। এখানে বিভিন্ন ধরণের অর্কিড রয়েছে ও বিশালাকার বিভিন্ন গাছ রয়েছে। -সূত্র: ওয়ান্ডার লিস্ট।
মন্তব্য চালু নেই