ভূমিকম্পের ঝুঁকিতে ভারতের ৩৮ শহর
ভারতের কমপক্ষে ৩৮ শহর ভূমিকম্পের উচ্চ ঝুঁকিতে রয়েছে। শুধু তাই নয়, ভূমিকম্পে ক্ষতিগ্রস্ত হতে পারে উপমহাদেশের প্রায় ৬০ ভাগ অঞ্চল। তবে এক্ষেত্রে ব্যতিক্রম হচ্ছে দিল্লি মেট্রো। কেননা এ শহরের বেশিরভাগ ভবন ভূমিকম্প প্রতিরোধক হিসেবে তৈরি।
ভারতের অন্তত ৩৮টি শহর সবচেয়ে বেশি ঝুঁকিতে রয়েছে বলে জানিয়েছে এনডিটিভি। শনিবার নেপালে যে ভয়াবহ ভূমিকম্প আঘাত হেনেছে তার ধাক্কা এসে লেগেছে ভারতেও। এতে আগ্রা ও শিলিগুড়ি শহরের বেশ কিছু ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। ভূমিকম্প বিশারদরা হিমালয় সংলগ্ন এ অঞ্চলে আরো ভূকম্পন হতে পারে বলে সতর্ক করে দিয়েছেন। তাদের আশঙ্কা সত্যি হলে ভারতে যে ভয়াবহ ধরনের ক্ষয়ক্ষতির মুখে পড়বে তা একপ্রকার নিশ্চিত। কেননা দেশটির নগণ্য সংখ্যক ভবনই ভূমিকম্প প্রতিরোধক নকশা মেনে তৈরি করা হয়েছে।
ভারতে যে কয়টি শহর ভূমিকম্পের ধাক্কা সামলাতে পারবে সেগুলোর অন্যতম হচ্ছে দিল্লি মেট্রো। ২০০১ সালে গুজরাট ভূমিকম্পের পর এখানকার ভবনগুলো ভূমিকম্প প্রতিরোধক নকশা মেনে তৈরি করা হয়েছিল। যদিও ১৯৯৩ সালের পর সামগ্রিকভাবে তেমন কিছুই বদলায়নি। ওই বছর মহারাষ্ট্রে ৬.৪ মাত্রার ভূমিকম্পের আঘাতে সে রাজ্যের লাটুর জেলায় প্রায় ১০ হাজার মানুষ মারা গিয়েছিল। তারা মারা গিয়েছিল দুর্বলভাবে নির্মিত ভবনের ধ্বংসাবশেষের নিচে চাপা পড়ে।
নেপালে শনিবারের ভূকম্পের পর ভূমিকম্পের বড় ধরণের ঝুঁকিতে থাকা ওই ৩৮টি শহরের তালিকা প্রকাশ করেছে ভারত সরকার। শহরগুলোর অন্যতম হচ্ছে দিল্লি, মুম্বাই, গান্ধীনগর, দেরাদুন, চণ্ডীনগর, চেন্নাই, কোলকাতা, শ্রীনগর, গৌহাটি, বিহার,গৌহাটি, ইম্ফল ইত্যাদি।
এর আগেও বড় ধরণের ভূমিকম্প মোকাবেলা করেছে দেশটিতে। ১৯৩৪ সালে বিহারে এবং ১৯৫০ সালে আসামে বড় ভূমিকম্প হয়েছিল।
মন্তব্য চালু নেই