পাবনার ঈশ্বরদীতে রেশম শ্রমিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ

রেশম শ্রমিকদের হয়রানী, ছাটাই, ন্যায্য ছুটি না দেয়া, সাপ্তাহিক ও সরকারি ছুটির দিনে হাজিরা না দেওয়ার প্রতিবাদে ও ছয় দফা দাবি আদায়ের লক্ষে গতকাল শনিবার দুপুরে ঈশ্বরদী রেশম বীজাগারে বাংলাদেশ রেশম বোর্ড শ্রমিকদের বিক্ষোভ সমাবেশ, পথসভা ও সংবাদ সম্মেলন অনুষ্ঠিত হয়েছে।

রেশম বীজাগার শ্রমিকদের আয়োজিত বিক্ষোভ সমাবেশ ও সংবাদ সম্মেলনে ঈশ্বরদী, মিরগঞ্জ, নবাবগঞ্জ, বগুড়া, রংপুর, ও দিনাজপুরের শতাধিক রেশম শ্রমিকেরা অভিযোগ করেন, ২৫-৩০ বছর ধরে নিয়মিতভাবে কাজ করেও সরকারের দেওয়া সকল সুযোগ-সুবিধা থেকে আমরা বঞ্চিত। কাজ থাকলে বেতন, না থাকলে নয়। রেশম বীজাগার সমুহে শ্রমিকেরা জানান, তাদের দৈনিক (হাজিরা) পারিশ্রমিক যে হারে দেওয়ার কথা সে ভাবে প্রদান করা হচ্ছেনা। সরকারি ও সাপ্তাহিক ছুটির দিনে কাজ না দেওয়ায় তারা মাসে সর্ব্বোচ্চ ১৬ দিন কাজ পাচ্ছেন না। এতে করে তাদের হাজিরা কমে যাচ্ছে। ফলে তারা মানবেতর জীবন-যাপন করেন।

রেশম বীজাগার শ্রমিক ইউনিয়ন ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি আফজাল হোসেনের সভাপতিত্বে পথসভায় রেশম শ্রমিকেরা দাবি করেন, তাদের মজুরি বৈষম্য দূর করে বাংলাদেশ কৃষি মন্ত্রাণালয়ের অধিনে শ্রমিকেরা যে সকল সুবিধা পেয়ে আসছে তাদের সে সব সুবিধা দিতে হবে। মাননীয় প্রধানমন্ত্রী রেশম শিল্পের প্রতি অত্যন্ত ইতিবাচক মনোভাব ব্যক্ত করে আসছেন। তিনি বস্ত্র ও পাট মন্ত্রণালয় পরিদর্শনকালে প্রাইভেটাইজেশন কমিশনের হাতে থাকা রেশম কারখানা রাষ্ট্রীয় খাতে ফেরত এনে চালু করার নির্দেশ দিয়েছেন। বক্তারা আরও বলেন, রেশম শিল্প গ্রামীণ দরিদ্র জনগোষ্ঠির জীবিকা নির্বাহের এবং দারিদ্র্য বিমোচনের গুরুত্ব ভূমিকা পালন করে আসছে। বক্তারা তাদের ছয় দফা দাবি আদায়ের জন্য সাংবাদপত্রের মাধ্যমে সরকারের কাছে জোর দাবি জানান।

বিক্ষোভ সমাবেশ শেষে পথসভায় বক্তব্য রাখেন রেশম বীজাগার শ্রমিক ইউনিয়ন ঈশ্বরদী শাখার সভাপতি আফজাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক বিশ্বনাথ সরকার, রাজশাহীর মিরগঞ্জ রেশম বীজাগারের শ্রমিক সিরাজুল ইসলাম, সোলায়মান আলী, দিনাজপুরের আজিজুল ইসলাম, ডালিম হোসেন, রংপুরের আজগার আলী, আসাদ হোসেন, বগুড়ার আবু তাহের, আনোয়ার হোসেন, নবাবগঞ্জের মনিরুল ইসলাম ও লুটু প্রামানিক।



মন্তব্য চালু নেই