টিটানবোয়া-বিশ্বের বৃহত্তম সাপ!

তাকে দেখলে নির্ঘাৎ লেজ গুটিয়ে পালাত অজগর৷ তার এক দর্শনেই লজ্জায় মুখ ঢাকত কেউটে, গোখরো আর শঙ্খচূড়রা ৷ বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় রণে ভঙ্গ দিত অতিকায় অ্যানাকোন্ডাও৷ এতক্ষণ ধরে যার কথা বলছি সে হচ্ছে টিটানোবোয়া৷ বিশ্বের বৃহত্তম, দীর্ঘতম এবং সবচেয়ে ভারি সাপ- এককথায় চলমান ত্রাস৷

এই বৃহদাকার সরীসৃপটির দৈর্ঘ ছিল ৫০ ফুট৷ ওজন প্রায় ১,১২৪ কেজি৷ তুলনামূলক বিচারে এটি প্রায় দশটি অ্যানাকোন্ডা সাপের সমান৷ শুধু কী তাই! কলম্বিয়ার জলাজমিতে দাপিয়ে বেড়ানো এই ‘দানববের’ খাদ্যতালিকাটিও ছিল সমান আকর্ষণীয়৷ লাংফিশ, অতিকায় কচ্ছপ ছাড়াও আস্ত কুমিরও অনায়াসে গিলে খেত টিটানোবোয়া৷

তবে এখনকার পৃথিবীতে জ্যান্ত টিটানোবোয়া খুঁজে পাওয়ার কোনো আশাই নেই৷ প্রায় ৬০০ লক্ষ বছর আগেই বিদায় নিয়েছে সে৷ রয়ে গিয়েছে তার জীবাশ্ম৷ সম্প্রতি সেটিই উদ্ধার করেছেন জীবাশ্মবিদরা৷ কলম্বিয়ার রাঞ্চেরিয়া নদীর অববাহিকায় অবস্থিত কেরেজন কয়লাখনির গর্ভে হদিশ মেলে বিশলাকায় এই সরীসৃপটির৷

ইন্ডিয়ানা বিশ্ববিদ্যালয়ের মেরুদণ্ডী প্রাণীদের উপর গবেষণারত জীবাশ্মবিদ ডেভিড পলি এ সম্পর্কে বলেন, ‘এই সাপ আকৃতিতে এতটাই বড় যে জীবিত অবস্থায় দেহের বেশিরভাগ অংশই পানির নিচে রাখতে হত একে৷’ তবে জলের তুলনায় স্থলে নাকি এদের গতিবিধি ছিল আরও ক্ষিপ্র, আরও মারাত্মক৷ দৈত্যাকৃতির এই টিটানোবোয়াকে এক ঝলক দেখতে চাইলে আপনাকে পাড়ি দিতে হবে নিউইয়র্ক৷ সেখানকার স্মিথসোনিয়ানের জাতীয় সংরক্ষণশালায় টিটানোবোয়ার একটি রেপ্লিকা সযত্নে রক্ষিত আছে৷



মন্তব্য চালু নেই