মহানবীর ব্যঙ্গাত্মক কার্টুন প্রকাশ করা শার্লি হেবদো তে বড় বিপদ
ফরাসি রম্য ম্যাগাজিন শার্লি হেবদো। একের পর এক বিতর্কিত ব্যঙ্গচিত্র প্রকাশকে কেন্দ্র করে এ পর্যন্ত বেশ কয়েকবার হামলার শিকার হয়েছে প্রতিষ্ঠানটি। সবশেষ গেল জানুয়ারিতেও হামলা হয় শার্লি হেবদোতে। প্রতিষ্ঠানটি থেকে হামলার পরের সপ্তাহে বের হওয়া ‘সার্ভাইভারস ইস্যু’ নামক সংখ্যাটি বিক্রি হয়েছে ৭ মিলিয়ন কপি। অথচ হত্যাকাণ্ডের আগের সপ্তাহগুলোতে ম্যাগাজিনটির গড় বিক্রি ছিল সপ্তাহে ৩০ হাজার কপি। আর ওই হত্যাকা-ের পর থেকে প্রতিষ্ঠানটির আয় হয়েছে প্রায় ২৪ মিলিয়ন ডলার। এবার সে টাকা ভাগাভাগি নিয়েই বিভক্ত হয়ে পড়েছেন শার্লি হেবদোর কর্মীরা।
বর্তমানে শার্লি হেবদোর ৪০ শতাংশের মালিকানায় রয়েছেন গেল ৭ই জানুয়ারি নিহত হওয়া ম্যাগাজিনটির সাবেক পরিচালক শার্বের মা-বাবা। আর আরও ৪০ শতাংশের মালিকানায় আছেন কার্টুনিস্ট রিস। বর্তমানে তিনি হাসপাতালে চিকিৎসারত আছেন। বাকি ২০ শতাংশের মালিক যৌথ ব্যবস্থাপক এরিক পোর্থিয়াল্ট। তবে এবার শার্লি হেবদোর সম্পত্তির সমবন্টনের দাবিতে উঠে পড়ে লেগেছেন এর বাকি কর্মীরা। ম্যাগাজিনটিতে একইরকমের শেয়ারের দাবিতে বর্তমান ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে লড়াই চালানোর জন্য সব কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রতিষ্ঠানটির ১১ জন কর্মী।
এরমধ্যে আছেন শার্লি হেবদোর কলামিস্ট প্যাট্রিক পেরোক্স এবং সাংবাদিক লরেন্ট লেগারও। এরইমধ্যে ব্যবস্থাপনা বিভাগের সঙ্গে আলোচনার জন্য একটি গ্রুপও ঘোষণা করেছেন তারা।
ম্যাগাজিনটির ব্যবস্থাপনা বিভাগের এক আইনজীবীর নাম প্রকাশ না করে বিজনেস ইনসাইডার জানায়, শার্লি হেবদোতে হামলার ঘটনার পর যে পরিমাণ টাকা লাভ হয়েছে তা ভালোর চেয়ে প্রতিষ্ঠানের খারাপই ডেকে আনছে বলে মনে করছেন তিনি। তিনি বলেন, প্রতি সপ্তাহে কীভাবে ম্যাগাজিনটি বের করা যায় তাই নিয়ে আগে সবার ভাবা উচিত। আর এরপরে ট্যাক্স ইস্যু নিয়ে ভাবতে হবে।
ওই আইনজীবীর দাবি; ভুক্তভোগীদের পরিবারের কাছে ডোনেশন তুলে দেয়া হচ্ছে আর পত্রিকা বিক্রির টাকা রাখা হচ্ছে শার্লি হেবদোর অর্থ ভাণ্ডারে। আর তা দিয়ে যেন বিভিন্ন স্কুলে মত প্রকাশের স্বাধীনতা নিয়ে শিক্ষা দেয়া যায় সেজন্যে ভবিষ্যতে একটি ফাউন্ডেশন গড়ে তোলার লক্ষ্য রয়েছে তাদের।
এদিকে শার্লি হেবদোর ব্যবস্থাপনা বিভাগকে অর্থ খরচের ব্যাপারকে প্রতিষ্ঠানের অভ্যন্তরীণ বিষয় উল্লেখ করে সাংবাদিক লরেন্ট লেগার বলেন, তহবিলে সমবন্টন অনেক বেশি স্বচ্ছতা তৈরি করবে।
তবে ব্যবস্থাপনা বিভাগের দাবি, প্রতিষ্ঠানের অর্জিত অর্থ নিয়ে কেউ ভেগে যাবে না। সুতরাং এ ব্যাপারে উদ্বিগ্ন না হতে শার্লি হেবদো কর্মীদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন তারা।
মন্তব্য চালু নেই