ভারতে এবার গণধর্ষণের শিকার বৃদ্ধা সন্ন্যাসিনী

গত ১১ মার্চ রাতে বাড়ি ফেরার সময় যৌন নিগ্রহের শিকার হন বলিউড অভিনেত্রী মোনা বাসু। এর উত্তাপ না কমতেই গত শুক্রবার গভীর রাতে ভারতের একটি খ্রিস্টান মিশনারি স্কুলে ঢুকে ডাকাতির পর প্রবীণ এক সন্ন্যাসিনীকে গণধর্ষণ করে ডাকাতরা। এ ঘটনায় উত্তাল নদিয়ার গাংনাপুর। যার তাপ গিয়ে লেগেছে রাজ্যের রাজনীতি মঞ্চেও।

এদিকে স্কুলের সত্তরোর্ধ্ব ‘মাদার সুপিরিয়র’কে আশঙ্কাজনক অবস্থায় রানাঘাট হাসপাতালে ভর্তি করানো হয়েছে। শনিবার বিকেলে চিকিৎসকেরা জানান, তার অবস্থা স্থিতিশীল। তবে শুক্রবার রাতের ‘বিভীষিকা’ এখনো কাটিয়ে উঠতে পারেননি তিনি।

মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ঘটনার তীব্র নিন্দা করেছেন। দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে কড়া ব্যবস্থা নেয়া হবে জানিয়ে সিআইডি তদন্তের নির্দেশ দিয়েছেন তিনি।

শনিবার ভোর থেকেই বাজতে থাকে স্কুল চত্বরের গির্জার ঘণ্টা। অবিরাম সেই ঘণ্টায় বিপদ-সঙ্কেত আঁচ করে আশপাশের পাড়া, এমনকী, দূরের গ্রামের মানুষজনও ভিড় করেন রানাঘাটের অদূরে গাংনাপুরের ডন বস্কো পাড়ার ওই স্কুলের সামনে। বন্ধ গেটে তখনো ঝুলছে দুষ্কৃতীদের লাগানো তালা। ভেতরে সদ্য দড়ির বাঁধন খোলা প্রহরী জয়ন্ত মণ্ডল আর সিস্টারদের হা-হুতাশ। এ অবস্থায় স্থানীয় বাসিন্দারাই তালা ভেঙে স্কুলে ঢোকেন। তার পর স্কুল চত্বরের জমায়েত থেকেই কয়েকশো গ্রামবাসীর প্রতিবাদ মিছিল যায় স্কুলের অদূরে রেললাইনের দিকে।

পুলিশ বলছে, শুক্রবার রাতে পাঁচিল টপকে স্কুলে প্রবেশ করেছিল সাত জনের একটি ডাকাত দল। স্কুলে ঢোকার পরে একমাত্র প্রহরীকে মারধর করে বেঁধে ফেলে তারা। তারপর ঢুকে পড়ে প্রশাসনিক ভবনে। সেখানে আলমারি ভেঙে তারা নগদ প্রায় ১২ লাখ টাকা, ড্রয়ারে থাকা ল্যাপটপ, ক্যামেরা লুঠ করে নিয়ে যায়। দুষ্কৃতীদের পরের গন্তব্য ছিল, স্কুল-লাগোয়া সন্ন্যাসিনীদের আবাসন। সেখানে রান্নাঘরের দরজা ভেঙে দুষ্কৃতিকারীরা উঠে যায় দোতলায়। তিনটি ঘরে ছিলেন সন্ন্যাসিনীরা। দুষ্কৃতীরা দোতলায় উঠতেই ঘুম ভেঙে গিয়েছিল তাদের। বাধা দিতে গেলে দুষ্কৃতীরা তাদের মারধর করে বলে অভিযোগ। এ সময়ই এক দুষ্কৃতী চুয়াত্তর বছরের ‘মাদার সুপিরিয়র’কে একটি ঘরে নিয়ে গিয়ে ধর্ষণ করে। ভোর ৫টা নাগাদ দুষ্কৃতীরা মূল গেটের বাইরে তালা দিয়ে পালিয়ে যায়।

এদিকে ভারতে নারীদের উপর অপরাধের প্রবণতা ক্রমশ বেড়েই চলেছে। তা থেকে রেহাই নেই সেলেব্রিটিদেরও।



মন্তব্য চালু নেই