মেয়েকে ধর্ষণ ও হত্যাকারী সৌদি পিতার সাজা কেবল জরিমানা
সতীত্বের পুরুষতান্ত্রিক ধারণাকেই বরাবর নারীর উপর সহিংসতার যুক্তি হিসেবে তুলে ধরে আমাদের পুরুষতান্ত্রিক অবদমনের সমাজ-ব্যবস্থা। নারীর উপর শারীরিক সহিংসতার সর্বোচ্চ অভিপ্রকাশ ঘটে ধর্ষণে। অথচ কী আশ্চর্য, ধর্ষণের পেছনেও অজুহাত হিসেবে দাঁড়িয়ে যায় নারীর তথাকথিত সতীত্বের প্রশ্ন। তবে পুরুষকে উত্তর দিতে হয় না এই প্রশ্নের যে, কেউ স্বেচ্ছায় বিয়ে বহির্ভূত সম্পর্কে জড়ালে তা যদি অন্যায় হয় তবে জোর করে কাউকে শারীরিকভাবে নিপীড়ন করলে তা আরও কতো বড় অপরাধ হয়?
দেশে দেশে পুরুষতন্ত্রের প্রাবল্যে পার্থক্য রয়েছে। পুরুষতন্ত্র যেখানে প্রচণ্ড, ভয়াবহ, তেমনই এক দেশ সৌদি আরবের কথা বলছি। সেই দেশের এক কথিত ধর্মপ্রচারক ধর্ষণের পর হত্যা করেছেন তাঁর পাঁচ বছর বয়সী মেয়েকে। অজুহাত সতীত্ব নিয়ে সন্দেহ।
শেখ ফায়হান আল-ঘামদি নামের ওই ব্যক্তির বিরুদ্ধে তার মেয়ে লামা ঘামদিকে আদালতে হত্যাকাণ্ডের এই অভিযোগ প্রমাণিত হয়েছে। শাস্তি হিসেবে আদালত তাকে ৫০ হাজার ডলার জরিমানায় মুক্তি দিয়েছে।
মামলার রায়ে বলা হয় ইসলামী শরীয়াহর’ আইন অনুযায়ী কোন পিতাকে তার মেয়ের হত্যার অভিযোগে মৃত্যুদণ্ড দেয়া যায় না।
গেলো অক্টোবরে বাবার অত্যাচারের পর মারা যান লামা আল- ঘামদি তারপর নভেম্বর থেকে পুলিশের হাতে বন্দি ছিলেন ফায়হান।
সূত্র: এক্সামিনার ডটকম
মন্তব্য চালু নেই