মিশরে নির্বাচন: তৃতীয় দিনে গড়াল ভোট

মিশরে প্রেসিডেন্ট নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতি আশানুরূপ না হওয়ায় ভোট গ্রহণের মেয়াদ আরো একদিন বাড়ানো হয়েছে। ফলে বুধবার সকাল থেকে সেখানে তৃতীয় দিনের মত ভোট চলছে। এ নির্বাচনে মাত্র দু জন প্রার্থী থাকায় সাবেক সেনাপ্রধান আবদেল ফত্তাহ এল সিসি সহজেই জয় পাবেন বলে অনুমান করা হচ্ছে।

মিশরে গত সোমবার থেকে দুদিন ব্যাপী ভোট শুরু হয়। কিন্তু এ নির্বাচনে ভোটার উপস্থিতির সংখ্যা অনেক কম থাকায় মঙ্গলবার রাতে ভোট গ্রহণের সময় আরো একদিন বাড়িয়ে দেয়ার ঘোষণা দেয় নির্বচন কমিশন। কমিশনের প্রধান আবদেল আজিজ সালমান দ্বিতীয় দিনের ভোট গ্রহণ শেষে জানান, ৫ কোটি ৩০ লাখ ভোটরের মধ্যে মাত্র ৩৭ শতাংশ ভোট দিয়েছে।

নির্বাচনের আগেই ভোটারদের প্রতি ভোট বর্জনের আবেদন জানিয়েছিল ক্ষমতাচ্যূত প্রেসিডেন্ট মোহাম্মদ মুরসির দল মুসলিম ব্রাদারহুড। তারা নিজেরাও এতে অংশ নিচ্ছে না। তবে তাদের ডাকে সাড়া দিয়েই ভোটাররা ভোট বর্জন করেছে কিনা তা অবশ্য জানা যায়নি।

সংবাদ সংস্থা রয়টার্স জানায়, মঙ্গলবার নির্বাচনের দ্বিতীয় দিনে কায়রোর বিভিন্ন ভোটকেন্দ্রে ভোটার উপস্থিতি ছিল অনেক কম। অনেক কেন্দ্রে কোনো ভোটারই চোখে পড়েনি। এ অবস্থায় ভোট গ্রহণের সময় একদিন বাড়িয়ে দিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

তবে ভোটার উপস্থিতি বাড়াতে চেষ্টার কোনো কমতি ছিল না দেশটির সেনা সমর্থিত অন্তর্বর্তী সরকারের। তারা লোকজনকে ভোট দেওয়ার বিষয়ে উৎসাহিত করতে মঙ্গলবার সরকারি ছুটির দিন ঘোষণা করেছিল। এমনকি ওইদিন ভোটারদের জন্য রিলের টিকেট ভাড়াও মওকুফ করা হয়েছিল। এর আগে মিশরের বিচার মন্ত্রণালয় এক ঘোষণায় বলেছিল, যেসব মিশরীয় নাগরিক ভোট দেবে না তাদেরকে জরিমানা করা হবে।

এদিকে নির্বাচন কমিশনের এ সিদ্ধান্তের ব্যাপক সমালোচনা করেছেন দুই প্রার্থীই। তারা এ সিদ্ধান্তের বিরুদ্ধে অভিযোগ দায়ের করারও হুমকি দিয়েছেন। এমনকি অভিযোগ উপেক্ষা করা হলে নির্বাচন থেকে সরে দাঁড়ানোওর হুমকি দিয়েছেন প্রার্থী হামদেদ সাবাহি।

উল্লেখ্য, এ নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করছেন মাত্র দু জন প্রার্থী, সাবেক সেনাপ্রধান সিসি এবং সাবেক পার্লামেন্ট সদস্য এবং নাসিরপন্থী হামদেদ সাবাহি। নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বীতা করার জন্য গত মার্চ মাসে সেনাবাহিনী থেকে পদত্যাগ করেছিলেন সিসি।



মন্তব্য চালু নেই