মির্জাপুর পয়েন্টে ব্রীজ নির্মাণ না হওয়ায় প্রায় ১৫ টি গ্রামের মানুষকে প্রতিনিয়ত দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন

পাবনার চাটমোহর উপজেলার নিমাইচড়া ইউনিয়নের করতোয়া নদীর মির্জাপুর পয়েন্টে একটি ব্রীজ নির্মাণ না হওয়ায় প্রায় ১৫ টি গ্রামের মানুষকে প্রতিনিয়ত ভোগান্তির শিকার হতে হচ্ছে। নদীর পশ্চিম পাড়ের বহরমপুর, চিনাভাতকুর, দরাপপুর, করকোলা, গৌড়নগর, বিন্যাবাড়ি, বরদানগর, লাঙ্গলমোড়াসহ কয়েকটি গ্রামের মানুষকে মির্জাপুরে যেতে পার হতে হয় এ সাঁকো।

এ গ্রাম গুলোতে এক ইঞ্চি পাকা সড়ক ও নির্মিত হয়নি আজ পর্যন্ত। ব্রীজ ও পাকা সড়ক না থাকার ফলে স্কুল, মাদ্রাসা, কলেজগামী ছাত্রছাত্রীসহ হাটুরে ও এ এলাকার সাধারণ মানুষ দূর্ভোগ পোহাচ্ছেন দীর্ঘদিন হলো। সরকার আসে সরকার যায় কিন্তু ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটেনা এ এলাকার মানুষের। দিনেরপর দিন সুবিধা বঞ্চিত হয়ে থাকতে হচ্ছে তাদের। পাকা রাস্তার কোন রকম সুবিধা না পাওয়ায় এ এলাকার মানুষের মনে জমেছে চরম ক্ষোভ। পিছিয়ে পরছে এ এলাকার উন্নয়ন। পিছিয়ে পরছে হাজার হাজার মানুষ।

সরেজমিন দেখা যায়, মির্জাপুরহাট ও বহরমপুর গ্রামের মধ্য দিয়ে প্রবাহিত করতোয়া নদীর উপর নির্মিত হয়েছে এ বাঁশের সাাঁকোটি। ভর বর্ষা মৌসুমে নদীর পানি যখন বেশি থাকে তখন সাঁকোর বদলে খেয়া নৌকায় পার হতে হয় এ এলাকার মানুষকে। অনেক সময় ঘটে নৌকা ডুবির ঘটনা। নদীর পশ্চিম পাড়ে তেমন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান নেই। পূর্ব পাড় মিজূাপুরে রয়েছে একটি ডিগ্রী কলেজ, একটি উচ্চবিদ্যালয় ও একটি দাখিল মাদ্রাসা। মির্জাপুর একটি প্রাচীন বড় হাট। সপ্তাহের দুইদির রবিবার ও বৃহস্পতিবার এ হাট বসে। দূর দূরান্ত থেকে কৃষিপণ্য ও মালামাল মাথায় করে এলাকাবাসীকে এ সাঁকো পার হয়ে হাটে যেতে হয়।

শিক্ষা প্রতিষ্ঠানগুলোতে যেতে হয় কোমলমতি শিক্ষার্থীদের। এ এলাকার মানুষকে সবচেয়ে বেশি অসহায় মনে হয় তখন যখন রাস্তার সুবিধা না থাকায় ও নদীপাড় হয়ে মূমূর্ষু রোগী, প্রসুতী মাকে হাসপাতালে নিতে হয় বাঁশের তৈরী মাচায় করে।

এ এলাকায় রিক্সা, ভ্যান, বাস, লসিমন, করিমন, সিএনজি, অটোরিক্সা কোন যানবাহনই চলাচল করেনা। পায়ে হেটেই তাদের পাড়ি দিতে হয় দূর্গম পথ। পরিবহন ব্যবস্থা না থাকায় এ এলাকার মানুষ তাদের উৎপাদিত কৃষিপন্য বিক্রির উদ্দেশ্যে দূরের হাট বাজারে নিতে পারেন না। এর ফলে তারা বঞ্চিত হচ্ছেন ফসলের ন্যায্যমূল্য থেকেও। করকোলা গ্রামের বারিকুল ইসলাম জানান, রাস্তাঘাট পাকা না হওয়ায় এবং বহরমপুরে ব্রীজ নির্মাণ না হওয়ায় আধুনিকতার ছোয়া লাগেনি এ এলাকায়।

চিনাভাতকুর গ্রামের সামসুল আলম মন্ডল জানান, এ এলাকায় পাকা রাস্তা তো নেইই কাচা রাস্তার অবস্থাও এতটাই খারাপ যে পায়ে হেটে চলাও কষ্টকর হয়ে পরেছে।

এ এলাকার মানুষেরা এখানে একটি সেতু নির্মাণ ও রাস্তা পাকাকরণে সংশ্লিষ্ট উর্ধ্বতন কতৃপক্ষের আশু হস্তক্ষেপ কামনা করেছেন। এ ব্যাপারে নিমাইচড়া ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান আব্দুল্লাহ আলমামুন জানান, এখানে একটা ব্রীজ না থাকায় মানুষের দূর্ভোগ বেড়েছে।



মন্তব্য চালু নেই