ঢাকা মেডিকেলে ভয়ঙ্কর এক বাচ্চার জন্ম
ঢাকা মেডিকেল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে অদ্ভুত রকমের ভয়ঙ্কর এক বাচ্চার জন্ম হয়েছে। বাচ্চাটি জন্মের পর তাকে দেখে স্বয়ং ডাক্তাররাই ভয়ে শিউরে ওঠেন। এরপর অন্যরাও আঁতকে ওঠেন। বাচ্চাটিকে দেখে ওই ওয়ার্ডে থাকা রোগী ও তাদের স্বজনদের মধ্যে হইচই পড়ে যায়। এ খবর মুহূর্তেই ছড়িয়ে পড়ে গোটা হাসপাতালে। এ নিয়ে ব্যাপক আলোচনা চলছে।
বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালের গাইনি বিভাগের ২১২ নম্বর ওয়ার্ডে বাচ্চাটির জন্ম হয়।
ঢামেক হাসপাতাল সূত্রে জানা গেছে, বুধবার সকাল ১০টার দিকে কুষ্টিয়া জেলার কুমারখালি উপজেলার মনিরুজ্জামান তার স্ত্রী রোমানা ইয়াসমীনকে হাসপাতালের ওয়ার্ডে ভর্তি করান। বৃহস্পতিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাচ্চা প্রসব করেন রোমানা।
প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, ‘বাচ্চাটির হাত-পা ঠিক আছে। একটি চোখ নেই। নাক একেবারেই ছোট। কান আছে তবে ছিদ্র নেই। বিশাল এক মুখ। হা করে আছে। মনে হচ্ছে গোগ্রাসে সবকিছু গিলে খাবে। বিকট এবং অদ্ভুত রকমের এক বাচ্চা। এমন বাচ্চা জীবনে দেখিনি।’
জন্মের পর বাচ্চাটিকে যখন গাইনি বিভাগে নেওয়া হয়, তখন হঠাৎ সবাই চিৎকার করে ওঠেন। অনেকেই ভয়ে ওয়ার্ড থেকে বের হয়ে দৌঁড় দেন। পরে শিশুটিকে ইনকিউবিউটরে রাখা হয়।
এই অদ্ভূত রকমের বাচ্চা সম্পর্কে ঢামেকের গাইনি বিভাগের অধ্যাপক দিলারা পারভিন জানান, গর্ভাবস্থায় ভ্রুণ যখন তৈরি হয়, ঠিক ওই সময়ই এক ধরণের শুক্রানু ও ডিম্বানুর অসম বিন্যাসের ফলে বাচ্চার আকৃতিগত পরিবর্তন হয়। স্বাভাবিক শিশুতে পরিণত না হয়ে শিশুর মতোই অন্য এক বিকৃত শিশুতে পরিণত হয়। যারা কুসংস্কারে বিশ্বাস করে কেবলমাত্র তারাই বিভিন্ন রকম কথাবার্তা ছড়ায়। এ ক্ষেত্রে মায়ের কোনো দোষ নেই। এরপর যখন ওই মেয়ে বাচ্চা প্রসব করবে এরকম নাও হতে পারে। তবে করো ভয় পাওয়ার কিছু নেই।
বাচ্চাটির বিষয়ে তিনি আরো জানান, চোখ, নাক, কান নেই যে বাচ্চার এবং দেখতে যে অদ্ভুত রকমের তাকে বাঁচিয়ে রেখে কী লাভ। তারপরও বাচ্চার অভিভাবকের ইচ্ছায় কৃত্রিম শ্বাস-প্রশ্বাসের ব্যবস্থা করা হয়েছে।
আরো পড়ুন :
মন্তব্য চালু নেই