‘পুরুষ’ জন্ম দিলেন যমজ বাচ্চা
‘পুরুষ’ জন্ম দিলেন ফুটফুটে যমজ বাচ্চা! ভারতের মিরাটে পুরুষের জিন নিয়ে জন্ম নেওয়া এক নারী দীর্ঘদিন চিকিৎসার মাধ্যমে শনিবার হাসপাতালে সুস্থ যমজ বাচ্চা জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন। চিকিৎসার মাধ্যমে শনিবার হাসপাতালে সুস্থ যমজ বাচ্চা জন্ম দিতে সক্ষম হয়েছেন।
ভারতীয় চিকিৎসকরা এটাকে বিশ্বে অবিশ্বাস্য লাখো ঘটনার মধ্যে অন্যতম মাইলফলক হিসেবে বর্ণনা করেছেন।
ওই নারীর চিকিৎসক সুনীল জিন্দাল বলেন, ‘মায়া মীরা (পরিবর্তিত নাম) শনিবার যমজ বাচ্চা জন্ম দিয়েছেন। যমজের একটি ছেলে ও একটি মেয়ে। তারা সুস্থ রয়েছে। এই ঘটনা মেডিক্যাল সায়েন্সে একটি ঐতিহাসিক ঘটনা। বাচ্চা জন্ম দেওয়ার দীর্ঘদিনের প্রবল বাসনা সত্যি হয়েছে মায়ার।’
খবরে বলা হয়, মায়ার বাহ্যিক আচরণ মেয়েলি। কিন্তু তার শরীরে পুরুষের জিনগত কাঠামো বিদ্যমান ছিল। মেডিক্যালের ভাষায় এটাকে এক্সওয়াই জোনোডাল জায়াজেনেসিস রোগ বলে।
সন্তান জন্মদানের জন্য তার এই পুরুষ প্যাটার্নের এক্সওয়াই ক্রোমোজম পরিবর্তন ও চিকিৎসার জন্য ভারতের নেতৃস্থানীয় ঋতুস্রাব ও বয়ঃসন্ধি বিশেষজ্ঞ চিকিৎসদের দারস্থ হন তিনি। তার শরীরে লোম ও মুখে দাড়ির জন্য তাকে প্রায়ই সেভ করতে হতো। তবে তার শরীরে সন্তান জন্মদানের জরায়ু ছিল।
এমতাবস্থায় তিনি হরমোন ও গাইনি চিকিৎসা নিলে মেয়েলি জিন ফিরে পাবেন এবং এমনকি বাচ্চা জন্মদানেও সক্ষম হবেন– এমন ধারণা পাওয়ার পরই চিকিৎসা নেওয়া শুরু করেন তিনি।
জিন্দাল বলেন,‘ সন্তান ধারণে সক্ষম জরায়ু তৈরি করার চ্যালেঞ্জ আমরা নিই। আর তা করতে সক্ষম হয়।’
তিনি আরো বলেন, ‘জরায়ুতে মানুষের দান করা ডিম্বাশয় স্থাপন করে ভ্রূণ উন্নতি করা হয়। এরপর এক সময় সে গর্ভবতী হয় ও তার অন্যান্য সমস্যাগুলো প্রতিরোধ করে চিকিৎসকরা।’
ভারতের বন্ধ্যাত্ব সোসাইটির চিকিৎসক কেডি নায়ার বলেন, ‘এ রকম মেয়ে রোগীদের বাচ্চাদানের সফলতার ঘটনা হাতে গোনা চার থেকে পাঁচটি। এটা চিকিৎসার ক্ষেত্রে ঐতিহাসিক অর্জন।’
তথ্যসূত্র : টাইমস অব ইন্ডিয়া।
মন্তব্য চালু নেই