জর্ডানী হামলায় মার্কিন বন্দী নিহত : আইএস

সিরিয়ার রাক্কায় জর্ডানের চালানো বিমান হামলায় আইএস’র (ইসলামিক স্টেট) হাতে বন্দী এক মার্কিন নারী নিহত হয়েছে বলে দাবি করা হয়েছে। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে শুক্রবার পোস্ট করা একটি বিবৃতির মাধ্যমে এ দাবি করেছে আইএস। খবর আলজাজিরা, বিবিসি ও রয়টার্সের।

বিবৃতিতে বলা হয়েছে- কায়লা জেন মুলার নামক ওই নারী শুক্রবার জুমার নামাজের সময় নিহত হন। ওই স্থানে এক ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে জর্ডানের বিমান বাহিনী হামলা চালাচ্ছিল।

এ বিমান হামলায় কোনো আইএস সদস্য নিহত হয়নি বলে বিবৃতিতে দাবি করা হয়েছে। সংগঠনটির প্রকাশিত ছবিতে দেখা গেছে, বিমান হামলায় একটি তিন তলা ভবন ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে। তবে মুলারের কোনো ছবি প্রকাশ করা হয়নি।

এর আগে বিমানচালক কাসাসবেহকে হত্যার প্রতিবাদে গত বৃহস্পতিবার থেকে সিরিয়া ও ইরাকে আইএস সদস্যদের লক্ষ্য করে ব্যাপক বিমান হামলা চালানো শুরু করে জর্ডান।

প্রমাণ পায়নি যুক্তরাষ্ট্র

যুক্তরাষ্ট্রের পক্ষ থেকে বলা হয়েছে, জর্ডানী বিমান হামলায় তাদের দেশের নাগরিক মুলারের হত্যার বিষয়ে কোনো প্রমাণ পাওয়া যায়নি।

মার্কিন প্রেসিডেন্ট বারাক ওবামার জাতীয় নিরাপত্তা কাউন্সিলের নারী মুখপাত্র বার্নাডেট মেহান বলেন, ‘আমরা এই প্রতিবেদনের বিষয়ে গভীর উদ্বিগ্ন। তবে এখন পর্যন্ত আমরা আইএস’র দাবির পক্ষে কোনো প্রমাণ খুঁজে পাইনি।’

যুক্তরাষ্ট্রের অ্যারিজোনা অঙ্গরাজ্যের বাসিন্দা ২৬ বছর বয়সী ত্রাণকর্মী মুলার ২০১২ সালে সিরিয়ায় যান। ২০১৩ সালের আগস্টে সিরিয়ার আলেপ্পো শহর থেকে আইএস সদস্যরা তাকে আটক করে।

এর আগে তিন মাকির্নী বন্দীকে হত্যা করে আইএস।



মন্তব্য চালু নেই