পাকিস্তানে মসজিদে বোমা বিস্ফোরণে নিহত ৪৯

পাকিস্তানের সিন্ধু প্রদেশে শিয়া মসজিদে এক বোমা বিস্ফোরণে ৪৯ জন নিহত ও আহত হয়েছে আরো ৫৫ জন।

সিন্ধুর শিকারপুর জেলার কেন্দ্রীয় ইমামবাগ মসজিদে শুক্রবার জুম্মার নামাজ আদায়ের কিছুক্ষণ পর ওই বিস্ফোরণ ঘটে।

শিকারপুর সিভিল হাসপাতাল ৪৯টি মৃতদেহের কথা নিশ্চিত করেছে। ৪৬ জনের পরিচয় জানা গেলেও বাকি তিনজনের ব্যপারে এখনো কিছু জানাতে পারেনি কর্তৃপক্ষ।

বিশাল বিস্ফোরণে মসজিদের ছাদ ভেঙে পড়লে ধ্বংসস্তুপের নিচে অনেকে আটকা পড়েন। প্রথমে আহতদের নিকটবর্তী শিকারপুর সিভিল হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। কিন্তু তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় সিন্ধুর সুখপুর ও লারকানায় জেলা হাসপাতালে অনেকে স্থানান্তর করা হয়েছে। আহতদের মধ্যে কয়েকজনের অবস্থা সংকটাপন্ন। মৃতের সংখ্যা বাড়তে পারে বলেও আশঙ্কা করা হচ্ছে।

সিন্ধুর তথ্যমন্ত্রী শারজিল ইনাম মেমোন বলেন, শিকারপুরের হাসপাতালগুলোয় জরুরি সেবা দেওয়ার নির্দেশ দিয়েছেন।

মজলিস ওয়াদাতুল মুসলেমিন (এমিডব্লিউএম) নামের স্থানীয় একটি সংগঠনের নেতা আল্লামা মোহাম্মদ আমিন শাহিদি এ হামলা প্রতিরোধে সরকার ব্যর্থ হয়েছে অভিযোগ করে তিন দিনের শোক ঘোষণা করেছেন।

ঘটনাস্থলে বিপুল পরিমাণ পুলিশ ও রেঞ্জার্স সদস্য মোতায়েন করা হয়েছে। শিয়া সংগঠনের এক জাতীয় নেতা রাহাত কাজমি বলেন, বোমা বিস্ফোরণের সময় মসজিদে চার শ লোক নামাজ পড়ছিলেন।

কীভাবে বিস্ফোরণটি ঘটনো হয়েছে তা এখনো নিশ্চিত হওয়া যায়নি। তবে প্রাথমিকভাবে একে ‘আত্মঘাতী’ বিস্ফোরণ বলে ধারণা করা হচ্ছে। তাৎক্ষণিকভাবে কেউ ওই হামলার দায় স্বীকার করেনি।

সিন্ধুর মুখ্যমন্ত্রী কায়িম আলি শাহ প্রাদেশিক আইজিকে ওই বোমা বিস্ফোরণের প্রাথমিক তদন্ত প্রতিবেদন জমা দিতে বলেছেন।

পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরীফ, প্রেসিডেন্ট মামনুন হোসাইন, পাকিস্তানের তেহরিক –ই- ইনসাফ (টিটিপি) প্রধান ইমরান খান, প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট আসিফ আলি জারদারি, মুয়াত্তাহিদা কোয়ামি মুভমেন্টের (এমকিউএম) প্রধান আলতাফ হোসেন প্রমুখ ওই হামলার নিন্দা জানিয়েছেন।



মন্তব্য চালু নেই