‘বকলমে মন্ত্রীত্ব চালাতেন’, রাহুল গাঁধীকে তোপ, কংগ্রেস ছাড়লেন জয়ন্তী নটরাজন
ফের জোরাল ধাক্কা খেল কংগ্রেস। দলের সহ সভাপতি রাহুল গাঁধীকে তোপ দেগে কংগ্রেস ছাড়লেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী জয়ন্তী নটরাজন।দ্বিতীয় ইউপিএ সরকারের পরিবেশমন্ত্রী থাকাকালে রাহুল বেশ কয়েকটি প্রকল্পের ছাড়পত্র নিয়ে তাঁকে ‘নির্দিষ্ট অনুরোধ’ জানিয়েছিলেন বলে অভিযোগ করেছেন জয়ন্তী। আসলে এই অনুরোধ ‘আদেশেরই নামান্তর’ বলেও মন্তব্য করেছেন তিনি। দলের সভানেত্রী সনিয়া গাঁধীকে লেখা একটি চিঠি লিখেছিলেন জয়ন্তী। ওই চিঠিতে তাঁর অভিযোগ, তাঁকে দলের একাংশ সংবাদমাধ্যমে উদ্দেশ্যপ্রণোদিতভাবে বদনাম করছে। তাঁকে অহেতুক নিন্দাও করা হচ্ছে। গত বছর সনিয়াকে লেখা তাঁর চিঠিটি একটি সংবাদপত্রে প্রকাশিত হয়েছে। ওই চিঠিতে তিনি মন্তব্য করেছেন, তাঁর মন্ত্রক বকলমে চালাচ্ছিলেন রাহুলই। কিন্তু যাবতীয় দোষের ভার অহেতুক তাঁর ঘাড়েই চাপানো হয়েছে।
জয়ন্তী চিঠিতে লিখেছেন মন্ত্রিসভার সহকর্মীদের আর্জি সত্বেও বেশ কয়েকটি গুরুত্বপূর্ণ প্রকল্পের ছাড়পত্র রাহুলের অনুরোধেই পরিবেশ সংক্রান্ত ছাড়পত্র বাতিল করে দিয়েছিলেন।
কিন্তু রাহুল হঠাত্ করেই পরিবেশ-বান্ধব থেকে কর্পোরেট-বান্ধব হয়ে ওঠেন। আর তখনই তাঁর বিরুদ্ধে দলের একাংশের পক্ষ থেকে নোংরা, মিথ্যা ও উদ্দেশ্যপ্রণোদিত প্রচার শুরু হয়।
লোকসভা নির্বাচনের ১০০ দিনের আগে তাঁকে ইস্তফা দিতে বলা হয়।
লোকসভা নির্বাচনে বিধ্বস্ত হয়ে এমনিতেই কোণঠাসা কংগ্রেস। তার ওপর জয়ন্তীর চিঠি ফাঁস ও দলত্যাগ কংগ্রেসের পক্ষে একটি বড়সড় ধাক্কা বলেই মনে করছে রাজনৈতিক মহল।এমনিতেই ইউপিএ-র জমানার কাজকর্ম নিয়ে সরব বিজেপি। তার ওপর এই ধাক্কা কংগ্রেসের অস্বস্তি আরও বাড়বে বলেই মনে করা হচ্ছে।
তামিলনাড়ুতে ইতিমধ্যেই জি কে ভাসান কংগ্রেস ছেড়ে নতুন দল গড়েছেন। রাজ্য কংগ্রেসে এমনিতেই ডামাডোল চলছে। দলের পাঠানো শো-কজের জবাব পর্যন্ত দেননি পি চিদম্বরমের পুত্র কার্তি। এই অবস্থায় জয়ন্তীর পদত্যাগ দলের সংকট আরও বাড়াল। তার ওপর রাহুল গাঁধীর কর্তৃত্ব নিয়েও নতুন করে প্রশ্ন তৈরি হল বলেও মনে করা হচ্ছে।
মন্তব্য চালু নেই