রাস্তায়ই থাকবেন কাদের সিদ্দিকী
কৃষক শ্রমিক জনতা লীগের সভাপতি বঙ্গবীর কাদের সিদ্দিকী বলেছেন, ‘যতদিন দুই নেত্রীর বোধোদয় না হয়, ততদিন অবস্থান কর্মসূচি চলবে। আমার এ অবস্থান কর্মসূচি সাধারণ জনগণের জন্য। কোনো দলের জন্য নয়। আমি আমার দলের পক্ষ থেকেও অবস্থান কর্মসূচিতে বসিনি।’
বৃহস্পতিবার দুপুরে দলীয় কার্যালয়ের সামনে ‘প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা আলোচনায় বসুন ও খালেদা জিয়া অবরোধ প্রত্যাহার করুন, মানুষ বাঁচান’- লেখা ব্যানার নিয়ে অবস্থান কর্মসূচি পালনকালে তিনি এ কথা বলেন।
কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘একজন বীর মুক্তিযোদ্ধা হিসেবে শান্তির জন্য আমি অবস্থান কর্মসূচি পালন করছি। কৃষক শ্রমিক জনতা লীগ এখানে স্পন্সর করছি মাত্র। সকল মুক্তিযোদ্ধাকে এ কর্মসূচিতে অংশ নেয়ার আহ্বান জানাই আমি।’
তিনি বলেন, ‘দেশে জনগণ অত্যাচার নির্যাতিত হচ্ছে। দেশে বর্তমানে যে পরিস্থিতি সৃষ্টি হয়েছে তাতে মানুষের জানমালের ক্ষতি হচ্ছে। তাই আমি মানুষের সেবক হিসেবে এখানে অবস্থান নিয়েছি।’
তিনি আরো বলেন, ‘শেখ হাসিনা বলেছেন- ২০১৯ সালের আগে আলোচনা করবো না। তবে আমি মনে করি শাসকের মর্যাদা অনেক বেশি। তাই দেশ ও দেশের মানুষের স্বার্থে প্রয়োজনে চারালের সঙ্গেও আলোচনায় বসা উচিৎ।’
চলমান অবরোধে বিএনপির বেশি ক্ষতি হচ্ছে উল্লেখ করে বঙ্গবীর বলেন, ‘আমি জিয়াউর রহমানের জানাজা দেখিনি। বঙ্গবন্ধুর স্বাভাবিক মৃত্যু হলে জানাজায় মানুষের ঢল নামতো। জিয়াউর রহমানের ছেলে কোকোর জানাজা দেখেছি। কোকো কোনো রাজনীতি করেনি। তিনি রাজনৈতিক পরিবারের সন্তান। তার জানাজায় যে মানুষ হয়েছে তার মধ্যে শতকরা ৮০ জন বিএনপির সমর্থক মনে হয়েছে আমার। এতে বোঝা যায় এ দলটির সম্মান কতোটুকু। তাই আমি দেশের স্বার্থে প্রধানমন্ত্রীকে আলোচনায় বসার এবং বেগম খালেদা জিয়াকে অবরোধ প্রত্যাহারে আহ্বান জানাই।’
তথ্যমন্ত্রী বলেছেন রাজপথে সমাধান হবে- এমন এক প্রশ্নের জবাবে কাদের সিদ্দিকী বলেন, ‘এ পযর্ন্ত রাজপথে কোনো কিছুর সমাধান হয়নি। বঙ্গবন্ধুকে যারা হত্যা করেছে তারাই প্রধানমন্ত্রীর আশেপাশে ঘোরাফেরা করছে। তাই আমার ভয় হচ্ছে দেশে আবার না কোনো অঘটন ঘটে।’
তিনি বলেন, ‘রাজনীতিতে মতভেদ থাকতে পারে, কিন্তু পরস্পর পরস্পরকে সম্মান করা উচিৎ। কিছুদিন আগে পুলিশ বেগম খালেদা জিয়ার ওপর পিপার স্প্রে নিক্ষেপ করে। সাবেক প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে এ ধরনের ব্যবহার করা উচিৎ হয়নি। আমি ক্ষমতায় গেলে সেই পুলিশদের ১৪ বছরের জেল দেবো।’
মন্তব্য চালু নেই