আত্মহত্যা নয়, হত্যাকাণ্ডের শিকার সুনন্দা : পুলিশ

ভারতের কেন্দ্রীয় সরকারের সাবেক মন্ত্রী শশী থারুরের স্ত্রী সুনন্দা পুস্কর হত্যাকাণ্ডের শিকার হয়েছেন। মঙ্গলবার মেডিকেল রিপোর্টের বরাত দিয়ে দিল্লি পুলিশ এ তথ্য জানিয়েছে।
২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি দিল্লির বিলাসবহুল লীলা কেমপিনস্কি হোটেলের একটি রুম থেকে সুনন্দা পুস্করের মৃতদেহ উদ্ধার হয়। এ ঘটনার পর সুনন্দার মৃতদেহের প্রথম ময়নাতদন্তে বলা হয়েছিল, মৃত্যুর সময় সুনন্দার পেটে বিষ বা কোনও ধরনের ওষুধ পাওয়া যায়নি। অথচ ভিসেরা রিপোর্টে বলা হয়েছিল, ড্রাগ পয়জানিংয়ে তার মৃত্যু হয়েছে।
পুলিশ জানায়, গত বছর ২৯ ডিসেম্বর অল ইন্ডিয়া ইন্সটিটিউট অব মেডিক্যাল সায়েন্সেস (এআইআইএমএস) থেকে সুনন্দার ময়নাতদন্তের চূড়ান্ত প্রতিবেদন পাওয়া গেছে। এতে সুনন্দার মৃত্যু ‘অপ্রাকৃতিক’ বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
রিপোর্টে বলা হয়েছে, বিষক্রিয়ায় সুনন্দার মৃত্যু হয়েছে। মুখ দিয়ে বা ইনজেকশনের মাধ্যমে বিষ দেওয়া হয়ে থাকতে পারে সুনন্দাকে।

এ ঘটনা সুনন্দাকে হত্যার অভিযোগ এনে মামলা করেছে দিল্লি পুলিশ।২০১৪ সালের ১৭ জানুয়ারি সুনন্দার লাশ পাওয়ার পর অস্বাভাবিক মৃত্যুর একটি মামলা হয়েছিল, এখন তা হত্যা মামলায় রূপান্তরিত হল।

Sunanda-Pushkarদিল্লির পুলিশ প্রধান বি এস বাসি গণমাধ্যমকে বলেন, ‘ মেডিকেল প্রতিবেদন হাতে পাওয়ার পর আমরা হত্যা মামলা নথিভুক্ত করেছি। প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিষের কারণে ভিক্টিমের মৃত্যু হয়েছে।তাকে বিষ হয় মুখে দেয়া হয়েছে নতুবা ইনজেকশনের মাধ্যমে শরীরে প্রবেশ করানো হয়েছে।’

সুনন্দার দেহে বিষের মাত্রা এখনো নির্ধারণ করা যায়নি জানিয়ে বাসি বলেন, ‘এ কারণে আমরা তার দেহের নমুনা বিদেশে পাঠাব।’

গত বছর জানুয়ারিতে সুনন্দার প্রথম ময়না তদন্ত রিপোর্টে বলা হয়েছিল ওষুধের অতিরিক্ত ডোজের কারণে তার মৃত্যু হয়েছে। তবে রিপোর্টে সুনন্দার দেহে বেশকিছু জখমের চিহ্ন পাওয়ার কথাও বলা হয়। জুলাইয়ে সর্বশেষ ময়না তদন্ত রিপোর্টে সুনন্দার দেহে ১৫ টি ক্ষতচিহ্ন এবং একটি ইঞ্জেকশনের চিহ্ন থাকার কথাও বলা হয়।

সুনন্দার লাশ উদ্ধারের সময় কংগ্রেস নেতা শশী হোটেলে ছিলেন না। সাবেক কূটনীতিক শশী থারুর কংগ্রেসের মুখপাত্রের দায়িত্ব পালন করলেও তাকে গত নির্বাচনের পর সরিয়ে দেওয়া হয়।



মন্তব্য চালু নেই