ফরিদপুরে পল্লী কবি জসীমউদদীনের ১১২তম জন্মবার্ষিকী পালিত
‘‘ওইখানে তোর দাদীর কবর ডালিম গাছের তলে/ তিরিশ বছর ভিজায়ে রেখেছি দুই নয়নের জলে’’,“ আসমানিদের দেখতে যদি তোমরা সবে চাও”, ‘‘তুমি যাবে ভাই যাবে মোর সাথে/ গাছের ছায়া লতায় পাতায় উদাসী বনের বায়’’ কিংবা বাবু সেলাম বারে বার, আমার নাম গয়া বাইদ্যা বাবু বাড়ী পদ্মার পাড়’’- এমন শত পল্লী কবিতা, গল্প, নাটক আর গানের মাধ্যমে পল্লী মানুষের সুখ-দুঃখের কথা তুলে ধরে যে কবি পেয়েছিলেন পল্লী কবির উপাধি। সেই পল্লীকবি জসীমউদ্দীনের ১১২তম জন্মবার্ষিকী ১ জানুয়ারি বৃহস্পতিবার পালন করা হলো তার গ্রামের বাড়ি অম্বিকাপুরে। এমনই একদিন আমাদের মাঝে জন্ম নিয়ে ছিলেন কৈজুরি ইউনিয়নের তাম্বুলখানা গ্রামে কবির মাতুলালয়ে আমাদের সকলের প্রিয় এই কবি। ১৯৩০ সনের ১ জানুয়ারি প্রত্যন্ত এক গ্রাম্য পরিবেশে জন্মগ্রহণ করে হয়ে উঠেন বাংলার পল্লীর সুখ দুঃখের আচারি কবি। যার কথায় কথায় লেখায় উঠে আসে পল্লীর বিচিত্র সব রুপ বৈচিত্র যা হয়ত তার কলমের লেখনি ছাড়া কোন দিনও সম্ভব হতো না। কবির স্মৃতি বিজরিত অম্বিকাপুরের বাড়ীটির পাশে গড়ে তোলা হয়েছে একটি স্মৃতি সংগ্রহশালা যা ১২ কোটি টাকা ব্যয়ে জসীম সংগ্রহশালা নামে গড়ে তোলা হচ্ছে। যার উদ্বোধন করবেন মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা এ বছরের মার্চে। এদিকে, জসীমউদ্দীনের জন্মবার্ষিকী উপলক্ষে নানা অনুষ্ঠানের আয়োজন করেছে জসীম ফাউন্ডেশন। সকালে কবির কবরে ফুলদিয়ে শ্রদ্ধা জানানোর পাশাপাশি কবির বাড়ীতে আলোচনা সভা, মিলাদ ও দোয়া মাহফিলের আয়োজন করা হয়। এ ছাড়া আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে বিখ্যাত জসীম মেলা শুরু হবে বলে জানাগেছে। এ ব্যাপারে জেলা প্রশাসক ও জসীম ফাউন্ডেশনে সভাপতি সরদার সরাফত আলী জানান, আশা করছি আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে জসীম মেলা শুরু হবে যার উদ্ধোধন করবেন প্রবাসী কল্যান ও বৈদেশিক কর্মসংস্থান মন্ত্রী ইঞ্জিনিয়ার খন্দকার মোশাররফ হোসেন এম. পি। এছাড়া সংগ্রহশালার কাজ শেষ পর্যায়ে লোকবল নিয়োগের প্রক্রিয়া চলছে। আশা করছি দ্রুতই সংগ্রহশালাটি দর্শনার্থীদের জন্য উন্মুক্ত করে দিতে পারবো।
মন্তব্য চালু নেই