রওশন এরশাদকে ‌‘পল্লীমাতা’ ঘোষণা

বর্তমান জাতীয় সংসদের বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদকে ‌এখন থেকে ‘পল্লীমাতা’ হিসেবে ঘোষণা দিয়েছেন দলের নেতাকর্মীরা।

জাতীয় পার্টির প্রধান, সাবেক রাষ্ট্রপতি হুসেইন মুহম্মদ এরশাদের স্ত্রী রওশন এরশাদকে পার্টির ২৯তম প্রতিষ্ঠাবার্ষিকী উপলক্ষে আয়োজিত মহাসমাবেশে তাকে পল্লীমাতা হিসেবে ঘোষণা দেওয়া হয়।

বৃহস্পতিবার (০১ জানুয়ারি) রাজধানীর সোহরাওয়ার্দী উদ্যানে দলের মহাসমাবেশ অনুিষ্ঠিত হয়।

সমাবেশে বলা হয়, আজ থেকে আমরা রওশন এরশাদকে পল্লীমাতা হিসেবে বিবেচনা করবো। এখন থেকে তার নাম বলার আগে পল্লীমাতা বলতে হবে। হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ আমাদের রাজনৈতিক পিতা এবং রওশন এরশাদ আমাদের পল্লীমাতা।

এদিকে, সমাবেশের এক পর্যায়ে মূল মঞ্চের দিকে ৩টি হাতি নিয়ে এগিয়ে আসলে তাদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়।

এ সময় নেতা-কর্মীদের বক্তব্যের এক পর্যায়ে দলের প্রেসিডিয়াম সদস্য ফয়সাল চিশতী ও কাজী ফিরোজ রশিদের মধ্যে কথা কাটাকাটির সৃষ্টি হয়। তবে তারা কি নিয়ে একে অপরের প্রতি ক্ষেপে যান তা কেউ নিশ্চিত করতে পারেননি।

তবে অনেকের দাবি হাতি সামনে আসতে না দেওয়ায় দুইজনের মধ্যে উত্তেজিত বাক্য বিনিময় হয়েছে। পরে এরশাদের হস্তক্ষেপে তারা দুইজন শান্ত হন।

মঞ্চে রয়েছেন- জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ও বিরোধীদলীয় নেত্রী রওশন এরশাদ।

মঞ্চে কেন্দ্রীয় নেতাদের মধ্যে আরো রয়েছেন, প্রেসিডিয়াম সদস্য জিএম কাদের, মশিউর রহমান রাঙা, মুজিবুল হক চুন্নু, ঢাকা দক্ষিণ জাতীয় পার্টির সভাপতি সৈয়দ আবু হোসেন বাবলা এমপি, প্রেসিডিয়াম সদস্য এমএ হান্নান এমপি, কাজী ফিরোজ রশীদ এমপি, জাপার সাবেক মহাসচিব রুহুল আমিন হাওলাদার,সালমা ইসলাম এমপি, এসএম ফয়সল চিশতী, মীর আব্দুস সবুর আসুদ, সুনীল শুভরায় প্রমুখ।

মঞ্চে উঠেই এরশাদ আনুষ্ঠানিকভাবে জাতীয় ও দলীয় পতাকা উত্তোলন করেন। এরপর তিনি বেলুন ও শান্তির প্রতীক পায়রা উড়ান। এরপর জাতীয় সংগীত ও দলীয় সংগীত পরিবেশন করা হয়।

দীর্ঘ দিন পরে এরশাদ ও রওশন এরশাদ এক মঞ্চে উঠলেন।

এ সমাবেশের মাধ্যমে রোডম্যাপ ঘোষণা করতে চায় জাতীয় পার্টি। প্রাদেশিক সরকার ব্যবস্থা চালু করা ও নির্বাচন পদ্ধতির সংস্কার করে ব্যক্তির পরিবর্তে দলকে ভোট দেওয়ার বিধানের দাবি জানাবে দলটি।

সভায় সভাপতিত্ব করছেন, মহাসমাবেশ প্রস্তুতি কমিটির আহ্বায়ক ও জাতীয় পার্টির মহাসচিব জিয়াউদ্দিন আহমেদ বাবলু।



মন্তব্য চালু নেই