ইন্দোনেশিয়া থেকে সিঙ্গাপুর যাওয়ার পথে রোববার সকালে এয়ার এশিয়ার যে বিমানটি নিখোঁজ হয়েছে তাতে ১৫৫ জন যাত্রী ছিল। বাকি সাত জন ক্রু। যাত্রীদের অধিকাংশই ইন্দোনেশীয় বলে স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমের বরাত দিয়ে জানিয়েছে রয়টার্স।
সকাল সাড়ে আটটার দিকে ফ্লাইটটির সিঙ্গাপুর গিয়ে পৌঁছানোর কথা ছিল। সিঙ্গাপুর বিমানবন্দরের ওয়েবসাইটে বিমানটিকে ‘বিলম্বিত’ দেখানো হচ্ছে।
রোববার সকালে ইন্দোনেশিয়ার সুরাবায়া বিমানবন্দর থেকে রওয়ানা হওয়ার পরপরই জাকার্তার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে এর যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। নিখোঁজ কিউজেড-৮৫০১ ফ্লাইটটি ছিল একটি এয়ারবাস। নাম্বার ৩২০-২০০।
ইন্দোনেশিয়ার পরিবহন মন্ত্রণালয়ের কর্মকর্তা হাদি মুস্তফা স্থানীয় সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, ১৬২ জন আরোহী নিয়ে এয়ার এশিয়ার ওই বিমানটি স্থানীয় সময় সকাল সোয়া ৬টার দিকে নিখোঁজ হয়ে যায়। তিনি আরো জানিয়েছেন, জাভা সাগর অতিক্রম করার সময় জাকার্তার এয়ার ট্রাফিক কন্ট্রোলের সঙ্গে এটির যোগাযোগ বিচ্ছিন্ন হয়ে যায়। এর আগে বিমানটি তাদের কাছে অপ্রচলিত একটি রুটে চলার অনুমতি চেয়েছিল।
ইন্দোনেশিয়ার অন্য এক কর্মকর্তা জানিয়েছেন, বিমানটিতে সবমিলিয়ে ১৫৫ জন যাত্রী ছিল। এদের মধ্যে ১৪৯ জনই ইন্দোনেশীয় যাত্রী। এছাড়া দক্ষিণ কোরিয়ার তিন এবং সিঙ্গাপুর, মালেশিয়া এবং ফ্রান্সের একজন করে যাত্রী রয়েছে।
বিমানটি নিখোঁজ হওয়ার খবরের সত্যতা স্বীকার করে এয়ার এশিয়া তাদের ফেসবুকে প্রকাশিত এক বিবৃতিতে জানিয়েছে,‘আমরা দু:খের সঙ্গে জানাচ্ছি, কিউজেড-৮৫০১ ফ্লাইটটি নিখোঁজ হয়েছে। এ বিমানের যাত্রী এবং ক্রুদের ভাগ্যে কী ঘটেছে এ মুহূর্তে আমরা তা বলতে পারছি না।’
বিমানটি খুঁজে বের করতে অনুসন্ধান শুরু করেছে এয়ার এশিযা কোম্পানি। এছাড়া নিখোঁজ বিমানের সকল যাত্রী ও ক্রুদের পরিবার ও স্বজনদের সর্বশেষ তথ্য জানাতে তারা জরুরি হটলাইন স্থাপন করেছে যার নাম্বার হচ্ছে +৬৬২২ ১২৯ ৮৫০ ৮০১।
এর আগে গত ৮ই মার্চ ২৩৯ জন যাত্রী নিয়ে নিখোঁজ হয়েছিল মালয়েশিয়ার এমএইচ৩৭০ বিমানটি। কুয়ালালামপুর থেকে বেইজিং যাওয়ার পথে এটি হারিয়ে যায়। ব্যাপক অনুসন্ধান চালানোর পরও এর ভাগ্যে কী ঘটেছিল সে ব্যাপারে নিশ্চিত হওয়া যায়নি। পাওয়া যায়নি কোনো ধ্বংসবশেষ। তাই মালয়েশিয়ার ‘নিখোঁজ’ বিমানটি এখনও রহস্য হয়েই রয়েছে।
মন্তব্য চালু নেই