হ্যাপির ফরেনসিক রিপোর্ট পুলিশের হাতে
জাতীয় দলের ক্রিকেটার রুবেল হোসেনের বিরুদ্ধে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে ধর্ষণের অভিযোগ উত্থাপনকারী নায়িকা নাজনিন আক্তার হ্যাপির ফরেনসিক রিপোর্ট হাতে পেয়েছে মিরপুর থানা পুলিশ। বুধবার বিকেলের দিকে রিপোর্টটি পেয়েছে তারা।
গত ১৩ ডিসেম্বর এই থানাতেই নারী ও শিশু নির্যাতন ৯/১ ধারায় রুবেলের বিরুদ্ধে একটি মামলা করেছিলেন হ্যাপি। মামলার প্রসঙ্গে ওই দিন হ্যাপি বলেছিলেন, ‘গত আট-নয় মাস ধরে রুবেলের সঙ্গে আমার প্রেমের সম্পর্ক ছিল। সে বিভিন্ন সময় আমাকে বিয়ের প্রলোভন দেখিয়ে শারীরিক সম্পর্ক করে। কিন্তু আমি যখনই বিয়ের জন্য চাপ দিতে থাকি তখন সে টালবাহানা করতে থাকে। পরবর্তী সময়ে সে আমার গায়ে হাত তোলে। এ অবস্থায় আমি মামলা করতে বাধ্য হলাম।’
রিপোর্টের বিষয়ে জানতে চাইলে এই মামলার তদন্ত কর্মকর্তা মিরপুর থানার উপ-পরিদর্শক মাসুদ পারভেজ জানান, থানায় রিপোর্টটি জমা হয়েছে আমি শুনেছি। তবে আমি এখন ঢাকার বাইরে আছি। রিপোর্টে কী আছে তা আমি এখনও জানি না।’
ঢাকা মেডিকেল কলেজ হাসপাতলের ফরেনসিক বিভাগের প্রধান ডা. মোহাম্মদ হাবিবুজ্জামান চৌধুরী বলেন, ‘নিয়ম অনুযায়ী পুলিশের কাছে রিপোর্ট দেয়ার কথা, দেয়া হয়েছে। রিপোর্টে কী আছে সে বিষয়ে কথা বলার এখতিয়ার আমাদের নেই।’
প্রায় একই কথা বলেন মিরপুর থানার ওসি (তদন্ত) মঈনুল ইসলাম। তিনি বলেন, ‘রিপোর্টে কী আছে তা সংশ্লিষ্ট আইও ছাড়া কেউ বলতে পারবেন না।’
১৩ ডিসেম্বর সন্ধ্যায় রুবেলের বিরুদ্ধে মামলা দায়েরের পর নায়িকা হ্যাপিকে প্রথমে নেয়া হয় তেজগাঁও ভিকটিম সাপোর্ট সেন্টারে। এর পরদিন ধর্ষণের অভিযোগের সত্যতা যাচাইয়ের জন্য পরীক্ষা-নিরীক্ষার উদ্দেশ্যে তাকে নেয়া হয় ঢাকা মেডিকেলের ফরেনসিক বিভাগে।
ডা. মোহাম্মদ হাবিবুজ্জামান চৌধুরী ওইদিন জানিয়েছিলেন, এটি একটি স্পর্শকাতর বিষয়, এ কারণে নারী সদস্যসহ তিন সদস্য বিশিষ্ট একটি বোর্ড গঠন করা হয়েছে। সাধারণত এ ধরনের রির্পোট দেয়ার জন্য ৭ থেকে ১০ দিন সময় লাগে। আমরা চেষ্টা করবো যতো দ্রুত সম্ভব সততার সঙ্গে রিপোর্টটি দেয়ার।
অভিযোগ ওঠার পর কার্যত লোকচক্ষুর অন্তরালে চলে যান ক্রিকেটার রুবেল। এরপর ১৫ ডিসেম্বর স্বশরীরে আদালতে হাজির হয়ে আগাম জামিন আবেদন করেন রুবেল। শুনানি শেষে আদালত রুবেলকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন দেন। ওইদিন প্রায় ৮ ঘণ্টা আদালতে কাটাতে হয় রুবেলকে।
মন্তব্য চালু নেই