ভারতে ২ হাজার মসজিদ-মাদ্রাসায় নজরদারি
ভারতের উত্তপ্র প্রদেশে বিজনোর জেলা ও এর আশপাশের দুই হাজার মসজিদ-মাদ্রাসার ওপর নজর রাখা হচ্ছে। আগামী ছয় মাস ওই নজরদারি চালানো হবে বলে ভারতীয় সংবাদমাধ্যম টাইমস অব ইন্ডিয়াকে জানিয়েছে পুলিশ।
সম্প্রতি বিজনোর জেলার মাদ্রাসা থেকে পাঁচ তরুণকে আটক করা হয়। তাঁরা রাজধানী দিল্লি ও উত্তর প্রদেশে সন্ত্রাসী হামলার পরিকল্পনা করছিল বলে দাবি করে পুলিশ। এদের মধ্যে মো. ফাইজান নামে স্থানীয় সমজিদের ইমামও রয়েছেন। পরে তাঁকে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। গতকাল শুক্রবার জিজ্ঞাসাবাদের পর চারজনকে মুক্তি দেওয়া হয়। ওই ঘটনার পর পরই এই নজরদারি শুরু করা হলো।
ভারতের সংখ্যালঘুবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের তথ্য অনুযায়ী, বিজনোর এলাকায় ৫০০টি মাদ্রাসা রয়েছে। এর মধ্যে ১৫টি ডিগ্রি সমমানের ও ৫৫টি উচ্চবিদ্যালয় সমমানের। ওই এলাকায় প্রায় এক হাজার ৫০০টি মসজিদ রয়েছে।
এ বিষয়ে বিজনোর শহরের পুলিশ প্রধান অজয় সাহানি বলেন, পুলিশ ও অন্য নিরাপত্তা সংস্থা বিজনোর ও প্রতিবেশী এলাকাগুলোর ধর্মীয় প্রতিষ্ঠানগুলোর ওপর সতর্কতার সঙ্গে নজরদারি চালিয়ে যাবে। সমাজের দায়িত্ববান ব্যক্তিদের নিয়ে এ প্রতিষ্ঠানগুলোতে মাঝে মাঝে পরিদর্শন চালানো হবে। এ ছাড়া তরুণরা যাতে সন্ত্রাসী কার্যকলাপে জড়িয়ে না পড়ে সেজন্য তাঁদের সঠিক পথ দেখানো হবে।
গত বৃহস্পতিবার ভারতের ছয়টি রাজ্যে চালানো এক অভিযানে গ্রেপ্তার করা হয় চার তরুণকে। এ ছাড়া আরো আটজনকে আটক করা হয়। তাঁদের মধ্যে ছয়জনকে জিজ্ঞাসাবাদ করে উত্তর প্রদেশের সন্ত্রাস দমনকারী দল (এটিএস)।
সাহানি বলেন, এটিএস যাদের আটক করেছিল তাঁদের ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। তাঁদের বাবা-মাদের নদীয়া জেলায় ডাকা হয়। পরে তাঁদের সাবধান করে সন্তানদের ফিরিয়ে দেওয়া হয়। আটক ওই তরুণরা বিভিন্ন সন্ত্রাসী দলের সঙ্গে সম্পৃক্ত ছিল।
মন্তব্য চালু নেই