মধ্যাহ্নভোজে মমতার হ্যাঁ, তিস্তায় না
প্রধানমন্ত্রীর ভারত সফরে তিস্তা চুক্তি হচ্ছে না বলে সাফ জানিয়ে দিয়েছে দেশটির পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের বাংলাদেশ-মিয়ানমার বিষয়ক যুগ্ম সচিব শ্রীপ্রিয়া রঙ্গনাথান। তিনি বলেছেন, এই সফরে তিস্তা চুক্তির সম্ভাবনা নেই।
তিস্তা চুক্তি হাতে নিয়ে ২০১৮ সালে বাংলাদেশের নির্বাচনে অংশ নিতে চেয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। কিন্তু সেই চুক্তিতে বাগড়া দিলেন পশ্চিমবঙ্গের মুখ্যমন্ত্রী মমতা ব্যানার্জি।
শুক্রবার দ্বিপাক্ষিক আলোচনার জন্য নয়াদিল্লিতে তিনদিনের সফরে যাবেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। এই সফরে তিস্তা চুক্তির সম্ভাবনা নাকচ করে দিয়েছেন শ্রীপ্রিয়া রঙ্গনাথান।
বৃহস্পতিবার তিনি বলেন, তিস্তার পানি বণ্টন চুক্তি নিয়ে এখনো কাজ চলছে। তবে রাজ্য সরকার এই চুক্তিতে এখনো রাজি নয় বলে জানান তিনি।
তিস্তার ৩৩ হাজার কিউসেক পানি বাংলাদেশকে দেয়ার শর্তে ২০ বছরেরও বেশি সময় ধরে যে দরকষাকষি চলছে তাতে আপত্তি জানিয়ে আসছে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। রাজ্য সরকার বলছে, এর ফলে রাজ্যের উত্তরাঞ্চলে ভোগান্তি শুরু হবে।
রাজ্য সরকার মনে করে, কুচবিহার, জলপাইগুড়ি, দার্জিলিং এবং উত্তর ও দক্ষিণ দিনাজপুরে এই চুক্তির ফলে হুমকির মুখে পড়বে।
এর আগে, ২০১১ সালে মনমোহনের ঢাকা সফরে এ চুক্তি স্বাক্ষর চূড়ান্ত পর্যায়ে পৌঁছালেও একেবারে শেষ মুহূর্তে তা বাতিল হয়ে যায়। মমতা ব্যানার্জি এ সফরে আসার কথা থাকলেও ঢাকা সফর থেকে বিরত থাকেন তিনি। এ সময় মমতা বলেন, তিস্তা চুক্তির যে শর্ত আছে তা রাজ্যের জন্য ক্ষতিকর।
৮ এপ্রিল শেখ হাসিনার সম্মানে আয়োজিত মধ্যাহ্নভোজে উপস্থিত থাকবেন বলে নিশ্চিত করেছেন মমতা। তবে তিস্তা চুক্তির বিষয়ে তার আপত্তি ও পূর্বের অবস্থান থেকে সরে আসেননি বলে এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে নিউজ১৮।
শেখ হাসিনার ভারত সফরে দুই দেশের মাঝে ৩৫টি চুক্তি ও সমঝোতা স্মারক স্বাক্ষর হওয়ার কথা। দ্বিপাক্ষিক বাণিজ্যিক ও বিনিয়োগ, প্রতিরক্ষা এবং বিদ্যুৎ খাতে সহযোগিতাসহ দুই দেশের সীমান্ত নিরাপত্তার বিষয়গুলো থাকবে চুক্তিতে।
এশিয়ার দেশগুলোতে চীনের প্রভাব ঠেকাতে রেলওয়ে, সড়ক ও জলপথের মতো বিভিন্ন অবকাঠামো প্রকল্পে বাংলাদেশকে নয়াদিল্লি ৫০০ কোটি মার্কিন ডলারের ঋণসহায়তা দিতে যাচ্ছে বলে প্রত্যাশা করা হচ্ছে।
সূত্র : নিউজ১৮, এনডিটিভি।
মন্তব্য চালু নেই