ইমারত ভেঙে ফেললেই ইতিহাস মুছে যায় না : ইমরান খান
দক্ষিণ মুম্বাইয়ে অবস্থিত পাকিস্তানের জনক কায়েদে আযম মুহাম্মদ আলি জিন্নার বাড়ি ভেঙে ফেলা নিয়ে প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন পাকিস্তানের প্রাক্তন ক্রিকেটার এবং রাজনীতিক ইমরান খান। তিনি বলেন, ‘ইমারত ভেঙে ফেললেই ইতিহাস মিথ্যে হয়ে যায় না। ‘
টুইটারে ইমরান খান লিখেছেন, ‘ভারতীয় সাংসদরা জিন্না হাউস ভেঙে ফেলার দাবি তুলছেন। যা খুবই দুর্ভাগ্যজনক। এভাবে ইমারত ভেঙে ইতিহাস মুছে দেওয়া যায় না। ’ দক্ষিণ মুম্বাইয়ে অবস্থিত জিন্না হাউস ভেঙে, গত মাসে সেখানে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ার প্রস্তাব দিয়েছিলেন মঙ্গল প্রভাত লোধা। সম্পত্তি কেনা–বেচার ব্যবসা ছাড়াও মহারাষ্ট্রের বিজেপি বিধায়ক তিনি।
১৯৬৮ সালের শত্রু আইন সম্পত্তি আইনের উল্লেখ করে যুক্তি দেন, ‘ওই বাড়িতে বসেই দেশভাগের ষড়যন্ত্র করেছেন জিন্না। বাড়িটির দেখাশোনা করতে লক্ষ লক্ষ টাকা খরচ হয় পৌরসভার। তাই সেটিকে ভেঙে সাংস্কৃতিক কেন্দ্র গড়ে তোলাই যুক্তিযুক্ত। ’
তবে তাঁর মন্তব্য সামনে আসার পর থেকেই বাড়িটি ভেঙে ফেলার বিরোধিতা করে পাকিস্তান। তাদের বিদেশ দপ্তরের মুখপাত্র নাফিসা জাকিরা বলেন, ‘পাকিস্তানের জনক মুহম্মদ আলি জিন্নার সম্পত্তি বাড়িটি। তিনি প্রয়াত হয়েছেন বটে। ইতিহাসের কথা ভেবে তাঁর অধিকারকে সম্মান জানানো উচিত। ’
১৯৩৬ সালে ২ লক্ষ টাকা খরচ করে আড়াই একর জমির ওপর বাড়িটি নির্মাণ করেন জিন্না। বর্তমানে সেটির মূল্য ৪০ কোটি মার্কিন ডলার। দেশভাগের বাড়িটির মায়া কাটিয়ে পাকিস্তান চলে যান জিন্নাহ। তার কয়েক বছর পর্যন্ত ব্রিটিশ ডেপুটি হাই কমিশনারেরর জায়গা হয়েছিল সেখানে। তবে ১৯৮২ সালের পর থেকে বাড়িটি খালি পড়ে রয়েছে। সেখানে কনস্যুলার অফিস তৈরির জন্য বারবার দিল্লির কাছে আবেদন জানিয়েছে পাকিস্তান। তবে তা আমল নেয়নি দিল্লি। জিন্নার মেয়ে দিনা ওয়াদিয়াও বাড়িটির মালিকানা পেতে আইনের দ্বারস্থ হয়েছেন।
সূত্র: আজকাল
মন্তব্য চালু নেই