কানাডার নাগরিকত্ব পেলেন মালালা, ষষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে কানাডা সরকারের এই সম্মাননা
শান্তিতে নোবেল বিজয়ী পাকিস্তানের নারী শিক্ষার অগ্রদূত, আন্দোলনকারী ও মানবাধিকার কর্মী মালালা ইউসুফজাই কানাডার সম্মানীত সিটিজেনশিপ পেয়েছেন। সমাজসেবা ও মানবাধিকারে অবদান রাখার জন্য এ পুরষ্কার দেয় কানাডা সরকার।
কানাডার সরকার এই পর্যন্ত ছয়জনকে সম্মানীত সিটিজেনশিপ দিয়েছে এর মধ্যে পাকিস্তানের তরুণী মালালা ষষ্ঠ ব্যক্তি হিসেবে কানাডা সরকারের এই সম্মাননা পাচ্ছেন।
এর আগে মানবাধিকার ও সমাজে অবদানের জন্য সুইডিশ স্থপতি রাউল ওয়ালিনবার্গ, দক্ষিণ আফ্রিকার বিপ্লবী নেতা নেলসন মেন্ডেলা, তিব্বতের আধ্যাত্মিক নেতা ১৪তম দালাই লামা, মিয়ানমারের গণতন্ত্রীপন্থী নেত্রী অং সান সু চি ও আগা খানকে এটি দেওয়া হয়েছে।
আগামী ১২ এপ্রিল কানাডা সফর করবেন মালালা। এ সময় তিনি পার্লামেন্টে ভাষণ দেবেন। কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রুাডো সোমবার এক বিবৃতিতে মালালাকে পার্লামেন্টে ভাষণ দেওয়া ও নাগরিকত্বের বিষয়টি জানিয়েছেন।
বিবৃতিতে ট্রুডো বলেন, মালালা নারী শিক্ষায় লক্ষাধিক নারীদের উৎসাহিত করেছেন। মালালাকে নাগরিকত্ব দেওয়ার পেছনে কানাডার গর্ব রয়েছে। পার্লামেন্টেও মালালার বক্তব্য দেওয়ার বিষয়টি ঘোষণা দিয়েছেন কানাডার ট্রুডো। শিক্ষার মাধ্যমে নারীর ক্ষমতায়নের বিষয়ে পার্লামেন্টে আলোচনা করবেন মালালা।
২০১৪ সালে নোবেল পাওয়া মালালাকে কানাডার তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী স্টিফেন হারপার একই বছর সম্মানজনক নাগরিকত্ব দেয়ার প্রস্তাব দেন। জাতিসংঘের সাবেক মহাসচিব বান কি মুন মালালাকে ‘জাতিসংঘ কন্যা’ উপাধিতে আখ্যায়িত করেছেন।
স্কুল থেকে বাড়ি ফেরার পথে মাত্র ১৫ বছর বয়সে তালেবান জঙ্গিরা তার মাথায় গুলি করে। নারী শিক্ষার প্রসারে কাজ করায় তিনি তালেবানদের টার্গেটে পরিণত হয়েছিলেন। পাকিস্তানে প্রাথমিক চিকিৎসার পর তাকে ব্রিটেনের হাসপাতালে স্থানান্তর করা হয়।
মালাল বিশ্বব্যাপী আলোচিত হয়ে সবার নজর কাড়েন। একে একে তার সুনাম বাড়তে থাকে। বাড়তে থাকে আন্তর্জাতিক পরিচিত। জিও নিউজ, টরেন্টো স্টার ও হাফিংটন পোস্ট অবলম্বনে।
মন্তব্য চালু নেই