কলম্বিয়ায় ভূমিধসে নিহত ২৫৪
কলম্বিয়ার দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলে ভূমিধসে অন্তত ২৫৪ জন নিহত হয়েছেন। আহত হয়েছে বহু মানুষ। উদ্ধারকর্মীদের বরাত দিয়ে এসব কথা জানিয়েছে ব্রিটিশ বার্তা সংস্থা রয়টার্স। ওই অঞ্চলে জরুরি অবস্থা ঘোষণা করা হয়েছে।
রাতভর ভারি বৃষ্টিপাতে কলম্বিয়ার পুতুমায়ো প্রদেশের নদীর পানি উপচে মোকোয়া শহর প্লাবিত হয়। শনিবার ভোরে ভূমিধসে বহু ঘরবাড়ি মাটির নিচে চাপা পড়ে। এ ঘটনায় বহু হতাহত হয়। এখনও নিখোঁজ রয়েছেন বহু মানুষ।
সেনাবাহিনী এক বিবৃতিতে জানিয়েছে, ভূমিধসে অন্তত ২৫৪ জন নিহত হয়েছেন, আহত হয়েছে চার শতাধিক। এখনও অন্তত ২০০ মানুষ নিখোঁজ রয়েছেন।
এর আগে প্রাথমিকভাবে রেডক্রস জানিয়েছিল, ২২০ জন নিখোঁজ রয়েছেন এবং আহত হয়েছেন অন্তত ২০২ জন।
উদ্ধারকাজে নিয়োজিত এক সেনা কর্মকর্তার বরাত দিয়ে রয়টার্স জানিয়েছে, পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে দুর্গত এলাকায় এক হাজার ১০০ জন সেনা সদস্য নিয়োগ করা হয়েছে। তিনি আরও জানান, শহরটির মূল হাসপাতালে আহত মানুষদের সামলাতে হিমশিম খাচ্ছেন কর্মকর্তারা।
ইতোমধ্যেই দুর্গত এলাকা পরিদর্শন করেছেন দেশটির প্রেসিডেন্ট হুয়ান ম্যানুয়েল সান্তোস। তিনি ওই এলাকায় জরুরি অবস্থাও ঘোষণা করেছেন।
শহরটির গভর্নর সরেল আরোকা কলম্বিয়ার সংবাদ মাধ্যমকে জানিয়েছেন, আশেপাশের সব এলাকা মাটিতে চাপা পড়ে গেছে। শহরটি ধ্বংসস্তূপে পরিণত হয়েছে।
উদ্ধার কর্মীরা জানিয়েছেন, খারাপ আবহাওয়ার কারণে এবং রাস্তাঘাট ভেঙে পড়ায় উদ্ধার তৎপরতা ব্যাহত হচ্ছে।
এক পুলিশ কর্মকর্তা জানিয়েছেন, মোকোয়া শহরের প্রায় ৮০ শতাংশ রাস্তা ভেঙে পড়েছে।
এ ঘটনায় শোক প্রকাশ করেছেন বিভিন্ন দেশের নেতারা। মেক্সিকো, আর্জেন্টিনা এবং ফ্রান্স উদ্ধার কাজে ও ত্রাণ তৎপরতায় সাহায্যের কথা জানিয়েছে।
দেশটির আবহাওয়া কার্যালয় জানিয়েছে, ২০১১ সালের পর চলতি মার্চ মাসেই সবচেয়ে বৃষ্টিপাত হয়েছে কলম্বিয়াতে।
পুতুমায়ো ইকুয়েডর ও পেরু সীমান্তে অবস্থিত। চলতি বছরের শুরুতে ভারী বৃষ্টিপাতের কারণে পেরুতে বন্যা ও ভূমিধসে ৯০ জনেরও বেশি মানুষ প্রাণ হারিয়েছেন।
সূত্র: রয়টার্স, বিবিসি।
মন্তব্য চালু নেই