গণতন্ত্র গেছে, সুন্দরবনও ধ্বংসের পথে

বাংলাদেশ থেকে গণতন্ত্র ধ্বংস হয়ে গেছে, এখন সুন্দরবনও ধ্বংস হওয়ার পথে।

বৃহস্পতিবার দুপুরে ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটি (ডিআরইউ) ছোট হল রুমে বাংলাদেশ পরিবেশ আন্দোলন (বাপা) ও সুন্দরবন রক্ষা জাতীয় কমিটির উদ্যোগে ‘শ্যালা নদীতে তেল ট্যাংকার দুঘর্টনা: বিপর্যস্ত সুন্দরবনের পরিবেশ, বর্তমান অবস্থা ও করণীয়’ শীর্ষক এক সংবাদ সম্মেলনে এ কথা বলেন বিশিষ্ট সাংবাদিক ও কলামিস্ট সৈয়দ আবুল মকসুদ।

তিনি বলেন, ‘লাখো বছরে প্রাকৃতিক উপায়ে গড়ে উঠেছে সুন্দরবন। এটা বিশ্ব ঐতিহ্য। এটা বানানো যাবে না। তাই আমরা এখানে রামপাল বিদ্যুৎ কেন্দ্র করতে দিতে চাই না। আমরা বিদ্যুৎ চাই, মধ্যম আয়ের দেশ চাই। কিন্তু সুন্দরবন হারাতে চাই না।’

‘সরকারের উচিৎ ‍ছিল শ্যালা নদীতে ট্যাংকার দুর্ঘটনায় মন্ত্রী ও কর্মকর্তাদের নিয়ে সরেজমিনে অবস্থা পযবেক্ষন করে একটি সিদ্ধান্ত নেয়া।’

সংবাদ সম্মেলনে ‍লিখিত বক্তব্যে পবার সাধারণ সম্পাদক ড. আবদুল মতিন বলেন, ‘৯ ডিসেম্বর শ্যালা নদীতে তেলবাহী ট্যাংকার ডুবে যাওয়ার পর সুন্দরবনের বির্স্তীণ অঞ্চলে তেল ছড়াতে থাকলেও সরকারের তেমন কোনো পদক্ষেপ না থাকায় জাতীয় ও আন্তর্জাতিকভাবে সমালোচনা হয়। ঘটনার চারদিন পর বন বিভাগ ১০০ নৌকা ও ২০০ লোকবল নিয়ে তেল অপসারণের কাজ শুরু করেছে বলে ঘোষণা দেয়। সেখানকার বর্তমান পরিস্থিতি সরেজমিনে পরিদর্শনের জন্য বাপার একটি প্রতিনিধি দল ১৬ ডিসেম্বর ওই এলাকা পরিদর্শন করে।’

ওই প্রতিনিধিদলের সুপারিশগুলো তুলে ধরেন আবদুল মতিন। সুপারিশগুলো হলো- অবিলম্বে সুন্দরবন ও ট্যাংকার ডুবির আশেপাশের এলাকাকে দূর্যোগপূর্ণ এলাকা ঘোষণা করা, স্বাস্থ্য-ঝুঁকিপূর্ণ তেল অপসারণের কাজে সাধারণ মানুষকে ব্যবহার না করে সংগঠিত রাষ্ট্রীয় বাহিনী ব্যবহার করা, বন ও পরিবেশবান্ধব দেশি-বিদেশি বিশেষজ্ঞ, পরিবেশবাদী সংগঠন ও স্থানীয় জনগণের পরামর্শ নিয়ে সঠিক বৈজ্ঞানিক পদ্ধতি অনুসরণ করে তেল অপসারণের পদক্ষেপ নেয়া, শ্যালা নদীর নৌপথ বন্ধ করে দ্রুত ঘসিয়াখালী নৌপথ ফের খনন করা ও চালু করা, বিশেষজ্ঞ ও পরিবেশকর্মীদের সমন্বয়ে পরিবেশসম্মত ‘সুন্দরবন ব্যবহার বিধি’ প্রণয়ন ও তা বাস্তবায়ন করা।

সংবাদ সম্মেলনে আরো উপস্থিত ছিলেন- রুহিন হোসেন প্রিন্স, শরীফ জামিল প্রমুখ।



মন্তব্য চালু নেই