গাবতলীতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ, চলছে দফায় দফায় সংঘর্ষ
রাজধানীর গাবতলীতে বিক্ষুব্ধ পরিবহন শ্রমিকদের ছত্রভঙ্গ করে সড়ক থেকে তুলে দিতে অভিযান চালাচ্ছে পুলিশ। এতে করে পুলিশের সঙ্গে শ্রমিকদের দফায় দফায় সংঘর্ষ চলছে। ফলে গাবতলী এলাকা আজ ফের রণক্ষেত্রে পরিণত হয়েছে।
শ্রমিকদের বিক্ষোভের এক পর্যায়ে আজ বুধবার সকাল পৌনে দশটার দিকে বিক্ষুদ্ধ পরিবহন শ্রমিকরা লাঠিসোটা ও ইটপাটকেল নিক্ষেপ করলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে টিয়ারসেল নিক্ষেপ করে পুলিশ। এছাড়া একই সঙ্গে সাঁজোয়া যান এবং জলকামান প্রস্তুত রেখেছে পুলিশ।
এর আগে গতকাল বিকেল থেকেই থেমে থেমে বিক্ষোভ করে পরিবহন শ্রমিকরা। তবে গতকাল সন্ধ্যার পর থেকে আক্রমণাত্মক হয়ে ওঠেন তারা। সে সময় তারা পুলিশের একটি র্যাকার ভ্যান ও গাবতলী টার্মিনালের পুলিশ বক্সে আগুন ধরিয়ে দেন। একই সঙ্গে টার্মিনালের পুলিশ ফাঁড়িটিও ঘিরে রাখে বিক্ষুব্ধ শ্রমিকরা।
পরিবহন শ্রমিক নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, ঢাকার সাভারে ট্রাকচাপা দিয়ে এক নারীকে হত্যার দায়ে চালকের মৃত্যুদণ্ডাদেশের প্রতিবাদে এই কর্মসূচি। এর আগে চলচ্চিত্র নির্মাতা তারেক মাসুদ ও সাংবাদিক মিশুক মুনীরসহ পাঁচজন নিহত হওয়ার ঘটনায় বাসচালকের যাবজ্জীবন কারাদণ্ডাদেশ দেয়ার প্রতিবাদে খুলনা বিভাগের ১০ জেলায় অনির্দিষ্টকালের পরিবহন ধর্মঘট ডাকে শ্রমিকরা। এরপরই মঙ্গলবার থেকে পরিবহন শ্রমিকরা নতুন কর্মসূচি শুরু করেছেন। তারা বলছে, আমাদের দাবি আদায় না হওয়া পর্যন্ত আমাদের আন্দোলন চালিয়ে যাবো।
এ বিষয়ে পরিবহন নেতা তাজুল ইসলাম বলেন, সড়ক দুর্ঘটনায় মিশুক মুনীর ও তারেক মাসুদসহ ৫ জন নিহতের মামলায় বাসচালক জামির হোসেনের নিঃশর্ত মুক্তির দাবি পূরণ না হলে পরিবহন ধর্মঘট প্রত্যাহার হবে না। কোনো চালক গাড়ি চালাতে গিয়ে মানুষ মারতে চান না। অনাকাঙ্খিত ঘটনায় একজন চালকের এমন শাস্তি অগ্রহণযোগ্য।
মন্তব্য চালু নেই