যে কারণে ভারতজুড়ে বিতর্কের কেন্দ্রবিন্দুতে মোদির এই গোলাপি পাগড়ি
প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে ভারতীর প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদির পরা পাগড়ি নিয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় তোলপাড়। প্রায় হাঁটু-ছোঁয়া গোলাপি রঙের রাজস্থানী পাগড়ি নিয়ে তর্ক আর থামছে না। কেউ কেউ বলছেন, গোলাপি রঙটি পাগড়িতে একেবারেই বেমানান। কেউ বলছেন, প্রজাতন্ত্র দিবসে মোদি গেরুয়া পরলেই পারতেন।
আবার মোদিকে সমর্থন দিয়ে অনেকে বলছেন, রাজস্থানের উৎসবে গোলাপি রঙের পোশাকই ছেলেদের আভিজাত্যের প্রতীক। দীর্ঘদিন ফ্যাশন নিয়ে পড়াশোনা করেছেন সমতা পার্টির প্রাক্তন প্রেসিডেন্ট জয়া জেটলি। তিনিও বলছেন, রাজস্থানের সনাতন উৎসবে পুরুষদের গোলাপি পাগড়ি পরাটা উঁচু দরের ফ্যাশনের প্রতীক। বিশেষ করে মোদী যেটা পরেছেন সেই ওল্ড রোজ গোলাপিতে হালকা রুপালি ছোঁয়া। সেটা একেবারেই উচ্চকিত নয়। বরঞ্চ খুবই নম্র আবেদনে পূর্ণ, যা ওই অনুষ্ঠানের সঙ্গে মানানসই।
একমত ডিজাইনার রাহুল মিশ্র, সুনীত বর্মা আর রিতু বেরি-ও। গোলাপি রঙ যে মোদীর বেশ পছন্দের, তা আগেও দেখা গিয়েছে। ২০১৩-য় পাটনার একটি সভায় মোদী গোলাপি গলাবন্ধ পরেছিলেন। তার পরে বছর দুয়েক আগে পাকিস্তানের প্রধানমন্ত্রী নওয়াজ শরিফকে মোদী একটি গোলাপি পাগড়িই উপহার দিয়েছিলেন।
একান্ত মোদীভক্ত এবং বিজেপি শিবিরের জ্যোতিষী গজানন কৃষ্ণ অবশ্য দাবি করছেন, এই রঙ বাছার পিছনে রয়েছে গ্রহ-রাশির অঙ্ক। তার বক্তব্য, আমি আগেই ভবিষ্যৎবাণী করেছিলাম প্রজাতন্ত্র দিবসের অনুষ্ঠানে যদি মোদী গোলাপি কিংবা বেগুনি রঙের পাগড়ি পরে যান, তবে মঙ্গল হবে। মানুষ আরও বেশি করে তার প্রতি আকৃষ্ট হবেন।
মোদী জ্যোতিষীর কথা মেনেই গোলাপি বেছেছেন কি না, তা অবশ্য নিশ্চিত করে বলা যাচ্ছে না। তবে রঙটি দৃষ্টি আকর্ষণ করেছে নিশ্চিত। সমকামীরা বলছেন, এ রঙের পাগড়ি পরে মোদী নাকি তাদের সমর্থন দিয়েছেন। মোদির পাগড়ি নিয়ে টুইটারে অমিতাভ বচ্চন লিখেছেন, জয় পিঙ্ক, জয় হিন্দ! সূত্র : আনন্দবাজার
মন্তব্য চালু নেই