মিয়ানমারে এ বছরই শান্তি প্রতিষ্ঠা সফল হবে : সুচি

মিয়ানমারে শান্তি প্রতিষ্ঠার উদ্যোগ এ বছরই সফল হবে বলে জানিয়েছেন দেশটির নেতা অং সান সুচি। ২০১৭ সালের মধ্যে মিয়ানমারে স্থায়ী শান্তি অর্জনের ব্যাপারে তিনি তার অঙ্গীকার পুনর্ব্যক্ত করেছেন। রোহিঙ্গা ইস্যু ছাড়াও দেশটির উত্তর-পূর্বাঞ্চলেও অশান্তি বিদ্যামান।

রবিবার দেশটির রাজধানী নে পি দোয় ন্যাশনাল রিকনসিলিয়েশন অ্যান্ড পিস সেন্টারের (এনআরপিসি) উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে দেওয়া ভাষণে তিনি এ কথা বলেন।

তিনি বলেন, জনগণকে সাথে নিয়ে বিশ্বে আমাদের প্রকৃত শুভাকাঙ্ক্ষীদের সহায়তায় দেশকে এগিয়ে নিয়ে যাবো।

আমরা মিয়ানমারে সহাবস্থান ও জাতীয় শান্তি প্রতিষ্ঠার আপ্রাণ চেষ্টা চালাবো। এই ভবন থেকেই শান্তির লক্ষ্যে আমরা আমাদের দেশকে সঠিক পথে পরিচালিত করার ক্ষেত্রে যেসব চ্যালেঞ্জ রয়েছে সেগুলো মোকাবিলা করবো।

জানা যায়, ইয়াঙ্গুনেও একটি এনআরপিসি রয়েছে। সেটির চেয়ারম্যানও সুচি। প্রসঙ্গত, ২০১২ সালে মিয়ানমারের রাখাইন রাজ্যে সংখ্যাগরিষ্ঠ বৌদ্ধদের সঙ্গে সংখ্যালঘু মুসলিম রোহিঙ্গাদের দাঙ্গা শুরু হয়। ভয়াবহ ওই দাঙ্গা এবং পরের কয়েকটি দাঙ্গায় ১ লাখ ২৫ হাজার রোহিঙ্গা বাস্তুচ্যুত হন। এরপর থেকে দেশটিতে নিয়মিত বিরতিতে রোহিঙ্গাদের উপর হত্যা-নির্যাতন চলছে। বিষয়টি নিয়ে সু চির নীরবতায় আন্তর্জাতিক অঙ্গনে তীব্র সমালোচনার সৃষ্টি হয়।

রোহিঙ্গাদের বিষয়ে মিয়ানমারে ব্যাপক বিরোধিতা বিদ্যমান। এদের মধ্যে সু চির নিজ দল ন্যাশনাল লিগ ফর ডেমক্রেসি (এনএলডি) দলেরও অনেকে আছেন। আন্তর্জাতিক প্রবল চাপের পরিপ্রেক্ষিতে গেল বছর সু চি বিষয়টি সুরাহার জন্য সময় চেয়েছিলেন। রোহিঙ্গাদের এরা বাংলাদেশ থেকে আসা অবৈধ অভিবাসী হিসেবে দেখে থাকে। এই কারণে রোহিঙ্গাদের নাগরিকত্ব ও মৌলিক অধিকার দিতে অস্বীকৃতি জানিয়ে আসছে মিয়ানমার।



মন্তব্য চালু নেই